ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২১ অক্টোবর ২০১৮

ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অবশেষে সাংবাদিক ও সমালোচক জামাল খাশোগির হত্যার কথা স্বীকার করেছে সৌদি আরব। ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে এই প্রগতিশীল সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। শনিবার প্রথমবারের মতো সৌদি কর্তৃপক্ষ এ কথা স্বীকার করে। এদিকে সৌদি আরবের এ স্বীকারোক্তির পর তুরস্ক সরকার সাফ জানিয়েছে যে, তারা জামাল খাশোগি হত্যার যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির। শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক খবরে বলা হয়, ইন্তানবুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের অভ্যন্তরে ধস্তাধস্তির কারণে মারা যান জামাল খাশোগি। গত ২ অক্টোবর ইন্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর তাকে আর দেখা যায়নি। সাংবাদিক জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার প্রতিবেদন ছিলেন। পাশাপাশি সৌদি আরবের বর্তমান ক্রাউন প্রিন্সের কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদের এই খবরের সত্যতা রয়েছে বলে স্বীকার করলেও দেশটির কয়েকজন শীর্ষ পার্লামেন্ট সদস্য এতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এসব পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান সদস্যও রয়েছেন। হোয়াইট হাউস জানায়, সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে ‘মর্মাহত’ হয়েছে। তবে এমন কর্মকা- ঘটানোয় তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশটির বিরুদ্ধে আমেরিকা কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা সে বিষয়ে তারা কিছু উল্লেখ করেনি। সৌদি আরবের স্বীকারোক্তির প্রথম মার্কিন প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানান, সবেমাত্র ওয়াশিংটন ‘এই খবর জেনেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তসহ সার্বিক বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খাশোগির মৃত্যুর খবর শুনে মর্মাহত হয়েছি এবং তার পরিবার, বাগদত্তা ও বন্ধু-বান্ধবের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। জামাল খাশোগির মৃত্যুর ঘটনায় সৌদি গোয়েন্দা দফতরের উপ-প্রধান আহমেদ আল আসিরি ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৌদ আল কাহ্তানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগির মৃত্যুর ঘটনা প্রথম থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে আসছিল। কিন্তু তুরস্কের কর্মকর্তাদের তদন্তে একের পর এক লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসে। তখন বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সৌদি আরব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে। সেই প্রেক্ষাপটে ঘটনার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর সৌদি আরব ইস্তানবুলে তাদের কনস্যুলেটের ভেতরেই খাশোগির মৃত্যুর কথা স্বীকার করল।
×