ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৮০ হাজার লোকের অংশগ্রহণ

স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোটের দাবিতে তাইওয়ানে র‌্যালি

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২১ অক্টোবর ২০১৮

স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোটের দাবিতে তাইওয়ানে র‌্যালি

তাইওয়ানে গণভোটের দাবিতে প্রচারাভিযানে শনিবার রাস্তায় হাজার হাজার লোকের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় র‌্যালি করেছে। যা বেজিংকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং দ্বীপের সরকারের প্রতি ইতোমধ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। খবর এএফপির। মধ্য তাইপে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বেজিং ও স্বাধীনতার দাবিদারদের খুশি রাখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে তাইওয়ানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর এই প্রথমবারের মতো সেখানে স্বাধীনতার দাবিতে গণভোটের জন্য বিশাল আকারের বিক্ষোভ হলো। আয়োজকরা দাবি করেছেন, ৮০ হাজার লোক এই র‌্যালিতে অংশ নিয়েছে। যদিও পুলিশের হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেন। তারা সেখানে স্লোগান দেন ও পতাকা ওড়ান। পতাকায় ‘ইনডিপেন্ডেন্স রেফারেন্ডাম’ লেখা ছিল। জনতা ‘ওয়ান্ট রেফারেন্ডাম’ ও ‘অপোজ এ্যানেক্সেশন’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। ফরমোসা এ্যালায়েন্স নামে নতুন একটি গোষ্ঠী এই র‌্যালির আয়োজন করে। এর সমর্থনে রয়েছেন সাবেক দুই স্বাধীনতাপন্থী তাইওয়ানী প্রেসিডেন্ট। এরা হলেন লি তেং-হুই ও শেন শুই-বিয়ান। অবসরপ্রাপ্ত পোস্টাল কর্মী সাই ওয়েন-লি (৬৩) বলেন, শুধু একটি গণভোটের মাধ্যমে তাওয়ানের জনগণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখাতে চায় যে আমাদের অধিকার বলে আমরা একটি নতুন স্বাধীন দেশ তৈরি করেছি। লির পরনে যে টি শার্টটি রয়েছে তাতে তাইওয়ান আমার দেশ লেখা রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার রেক্স ইয়াং (৩৫) তাইওয়ানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি অনাথ দেশ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, তাইওয়ানবাসী চায় তাইওয়ান একটি স্বাভাবিক দেশ হোক... যে কারণে আজ আমি এখানে এসেছি। চীন এখনও তাইওয়ানকে নিজের অংশ মনে করে। যদিও ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধ শেষে তারপর থেকে দুটি অংশ পৃথকভাবে শাসিত হয়ে আসছে। তাইওয়ান নিজে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। যার নিজস্ব মুদ্রা, রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কখনই মূলভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি। বেজিং সতর্ক করে দিয়েছে, যদি তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কাজ করে তাহলে তারা শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিক্রিয়া জানাবে। ঐতিহ্যগতভাবে ডিপিপি স্বাধীনতার পক্ষপাতী। প্রেসিডেন্ট সাই জানিয়েছেন, তিনি চান চীনের সঙ্গে সমঝোতা বজায় রেখে চলতে। ২০১৬ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে তিনি সম্পর্ককে নষ্ট হতে দেননি বরং বেজিংয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তাইওয়ানকে চীনের একটি অংশ হিসেবে মনে করেন। বেজিং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাইওয়ানকে মুছে ফেলতে বহুমুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো বৈশ্বিক সংগঠনগুলোতে এর সদস্যপদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং এর সঙ্গে কূটনৈতিক সহযোগীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা। চীন বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটগুলোতে সফলভাবে তাইওয়ানকে চীনের একটি অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে আসছে।
×