ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুধীর বরণ মাঝি;###;শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া শিক্ষক হাইমচর সরকারি কলেজ;###;হাইমচর-চাঁদপুর।

শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নবম ও দশম শ্রেণি

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২০ অক্টোবর ২০১৮

 শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নবম ও দশম শ্রেণি

(পূর্ব প্রকাশের পর) তৃতীয় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ৪। অংকিতা যেখানে বসে পড়ালেখা ফলে সেখানে পর্যাপ্ত আলো বতাস নেই। এ কারণে অংকিতা কিছুক্ষণ পড়াশোনা করেই মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং পড়াশোনার প্রতি অনিহা দেখা দেয়।অংকিতার মা বিষয়টি লক্ষ্য করে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে দিলেন এবং বললেন,য়থেষ্ট আলো,বাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মানসিক অবসাদ দূর করে। ক) রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে কী সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে? খ) মানসিক অস্থিরতা দূরীকরণের উপায় কী? গ) পরিমিত- আলোবাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ অংকিতার মানসিক অবসাদ দূরীকরণে কীভাবে ভূমিকা রাখে ব্যাখ্যা কর। ঘ) কী কী কারণে মানসিক অবসাদ আসে বলে তুমি মনে কর? বিশ্লেষণ কর। ক) উত্তর ঃ রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে আত্মসচেতনতা সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। খ) উত্তর ঃ স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে বুঝায়। মানসিক অসূস্থতার কারণে শিশু মনে মানসিক বিকৃতির সূত্রপাত হয়। ইহাই হলো মানসিক অস্থিরতা। মানসিক অস্থিরতা দূরিকরণের জন্য সুশিক্ষা, শিশুর স্বাস্থ্যসম্মত লালন-পালন, পরিচর্যা,উন্নত পারিবারিক পরিবেশ,পিতা-মাতা অভিভাবকের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদির প্রয়োজন। ধৈর্যশীল আচরণ,শিশুবান্ধব পরিবেশ, পুষ্টি, আনন্দময় জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন। পিতামাতা ও অভিভাবকে এ বিষয়ে বিশেষভাবে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। গ) উত্তর ঃ পরিমিত- আলো, বাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ অংকিতার মানসিক অবসাদ দূরীকরণে যেভাবে ভূমিকা রাখে। উদ্দীপকের আলোকে অংকিতার মানসিক অবসাদের প্রাকৃতিগত কারণ বিশ্লেষন আমরা দেখতে পাই দৈহিক এবং মানসিক কারণ ছাড়াও কিছু পরিবেশগত কারণেঅংকিতার মানসিক অবসাদ আসে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খুব গরম,খুব ঠান্ডা বা গুমট আবহাওয়া, পরিমিত আলো,বাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ না থাকলে সামান্যতেই আবসাদ এসে ভর করে। পর্যাপ্ত আলো বাতাস, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ,পরিষ্কারস্থানে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলে অংকিতা আনন্দের সাথে পড়ালেখা করবে এবং মানসিক অবসাদের প্রভাব মুক্ত থাকবে। পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মন প্রফুল্ল থাকে। ফলে তার মানসিক ক্লান্তি কম হয়। এতে অবসাদও দেরী করেআসে। অপর্যাপ্ত আলো এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কাজে শতভাগ মন বসে না ফলে খুব দ্রæত অবসাদ চলে আসে। পরিমিত- আলো,বাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ অংকিতার মানসিক অবসাদ দূরীকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ঘ) উত্তর ঃ মানসিক অবসাদের কারণ বিশ্লেষণ করা হলো। মানসিক কাজ অনেকক্ষণ ধরে করতে থাকলে মানসিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় অবসাদ দেখা দেয়। ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ, মানসিক অবস্থার তারতম্য, পরিবেশত কারণেও অবসাদ আসে। দৈহিক এবং মানসিক কাজকে যেমন সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা যায় না, তেমনি দৈহিক অবসাদ ও মানসিক অবসাদকে আলাদো করা যায় না। অনেক সময় দৈহিক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ আসতে পারে, তেমনি একটানা মানসিক কাজ করতে থাকলে দৈহিক অবসাদ আসে। নিন্মলিখিত কারণে মানসিক অবসাদ আসে বলে বিশ্লেষেণ করা হলো- (১) মানসিক প্রস্তুতির অভাব ঃ কোন কাজ করার পূর্বে যদি সেই কাজ সম্পর্কে পূর্ব ধারনা স্পষ্ট না থাকলে তাড়াতাড়ি অবসাদ আসে। (২) কাজে অভ্যস্ত হয়ে না উঠা ঃ কর্মসূচি নিয়মিতভাবে পালন কালে অভ্যস্ত হয়ে না উঠলে দ্রæত অবসাদ চলে আসে। (৩) কর্মক্ষেত্রে প্রেষণার অভাব ঃ কাজের প্রতি যদি প্রেষণা না থাকে, কাজটিকে যদি বোঝা মনে হয়। এই ধরনের চাপিয়ে দেওয়া কাজে সহজে মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। (৪) মানসিক ইচ্ছার অভাব ঃ কর্মসূচি বাস্তবায়নে যদি অনিহা থাকে তাহলে সে দ্রæতই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। মানসিক ইচ্ছা প্রবল হলে কাজটি কঠিন হলেও করা সম্ভব।তাই মানসিক ইচ্ছার অভাব অবসাদেও একটি বিশেষ কারণ। (৫) পরিবেশগত কারণ ঃ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ,খুব গরম,খুব ঠান্ডা বা গুমট আবহাওয়া, পরিমিত আলো,বাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ না থাকলে সামান্যতেই আবসাদ এসে ভর করে। (৬) কাজের প্রতি অনুরাগের অভাব ঃ কাজের প্রতি যদি স্বতঃস্ফুতর্তা এবং ভালোবাসা না থাকে তবে মানসিক অবসাদ দ্রæত চলে আসে।
×