ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটা পৌরবাসী ২৪ ঘণ্টা পাবেন পিউরিফাইড পানি

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২০ অক্টোবর ২০১৮

কুয়াকাটা পৌরবাসী ২৪ ঘণ্টা পাবেন পিউরিফাইড পানি

কুয়াকাটা পৌরবাসীসহ পর্যটকের জন্য সুখবর। গোটা পৌর এলাকায় সরবরাহ হবে পিউরিফাইড পানি। বাসাবাড়িতে, আবাসিক কিংবা খাবার হোটেলে কাউকে কিনতে হবে না মিনারেল ওয়াটার। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের তিন প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে নিরাপদ পানি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন সবাই। কুয়াকাটার সকল মানুষের জন্য আরেক নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে। কেটে যাবে নিরাপদ পানির সঙ্কট। থাকবে নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। ব্যবহার করতে হবে না অগভীর টিউবওয়েলের (শ্যালো) অপরিশোধিত পানি। কুয়াকাটা পৌরসভায় নিরাপদ পানি সরবরাহ স্যানিটেশন প্রকল্প নামে ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। যা ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ছয়টি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রথম প্যাকেজে ২০০ গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। ৬০টি নলকূপ বসানো হয়েছে। দ্বিতীয় প্যাকেজে থাকছে তিনটি প্রোডাকশন টিউবওয়েল। এ জন্য ৯০ লাখ টাকা ব্যয়-বরাদ্দ রয়েছে। তৃতীয় প্যাকেজে ১৩ কিমি ড্রেন নির্মাণ হবে। দশটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। দুই কক্ষের প্রত্যেক টয়লেটে থাকছে গোসল সুবিধা। এর নির্মাণ ব্যয় দুই কোটি টাকা। এছাড়া সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্টের ওভারহেড ট্যাঙ্কি নির্মাণে ব্যয় হবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা। ভূগর্ভস্থ ছাড়াও ভূপৃষ্ঠের পানি ইম্পাউন্ডিং রিজার্ভারের মাধ্যমে পিউরিফাইড করে পাইপ লাইনে গ্রাহককে সরবরাহ করা হবে। যেখানে এক লাখ লিটার পানি ইম্পাউন্ড রিজার্ভার ধারণ করতে পারবে। সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি ওভারহেড ট্যাঙ্কে সরবরাহ করতে পারবে। ওভারহেড ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা দুই লাখ লিটার। মোট কথা এই প্লান্ট চালু হলে অন্ততপক্ষে চার হাজার গ্রাহক ২৪ ঘণ্টা নিরাপদ পিউরিফাইড পানি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। পরীক্ষামূলক নলকূপ, উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করা। নিরাপত্তা দেয়াল এবং বৈদ্যুতিক সংযোগসহ পাম্পহাউস। ইম্পাউন্ডিং রিজার্ভার। সার্ফেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। ওভারহেড ট্যাঙ্ক। আরসিসি ড্রেন নির্মাণ। কুয়াকাটা পৌরসভায় নিরাপদ পানির প্রচন্ড অপ্রতুলতা থাকায় পর্যটন এলাকার মানুষসহ পর্যটক-দর্শনার্থীর জন্য পিউরিফাইড পানি সরবরাহে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য কয়েক স্পটে অন্তত দশ একর জমির প্রয়োজন রয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ জিহাদ হোসেন জানান, প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটায় অন্তত তিন শ’ একর খাস জমি রয়েছে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হবে না। তবে পৌরসভার মেয়রসহ পরিষদকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, পৌর এলাকায় থাকা সরকারী খাস জমি নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
×