রূপগঞ্জে ৩ বছরের শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৯ অক্টোবর ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অপহরণের পর মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে জুঁই আক্তার নামে ৩ বছরের এক কন্যা শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার ওই শিশুর বাড়ির পেছন থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জুঁই আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। জুঁই আক্তার উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। এদিকে, নিহতের স্বজনরা ও স্থানীয়রা জুঁই আক্তারের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এসময় বিক্ষোভ মিছিলটি টেকপাড়া এলাকাসহ আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। ওই শিশুর বাবা আনোয়ার হোসেনের বরাত দিয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রফিকুল হক জানান, জুঁই আক্তার গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জুঁই আক্তার বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে এলাকায় মাইকিং ও জুঁই আক্তারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জুঁই আক্তারের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অপহরণকারীরা আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশনের যেতে বলেন। অপহরণের ঘটনা পুলিশকে জানালে জুঁই আক্তারকে মেরে ফেলবে বলে অপহরণকারীরা হুমকি ধামকি প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অপহরণকারীদের ৫ লাখ টাকায় রফাদফা হয়। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে জুঁই আক্তারের লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তবন্ধী পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পুলিশের টাকা ধারণা, মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জুঁই আক্তারকে নিজ বাড়ির সামনে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তাবন্দী করে ফেলে রেখে যায়। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা জুঁই আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।