ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-জিম্বাবুইয়ে সিরিজ শুরু রবিবার

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২০ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশ-জিম্বাবুইয়ে সিরিজ শুরু রবিবার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অপেক্ষার পালা শেষ। দীর্ঘদিন ধরে দেশের মাটিতে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলার অপেক্ষা শেষ হচ্ছে রবিবার। এদিন জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজের মিশনে নামবে বাংলাদেশ দল। সেই সঙ্গে আটমাস যে জাতীয় দল দেশের মাটিতে কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে না সেই অপেক্ষার অবসানও ঘটবে। শুধু কি তাই, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, ‘হোম অব ক্রিকেটে’ও যে আটমাস ধরে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে না, তারও অবসান ঘটবে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ে দুপুর আড়াইটায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে। রবিবার প্রথম ওয়ানডে ‘হোম অব ক্রিকেটে’ হওয়ার পর বুধবার দ্বিতীয় ও শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। দুটি ম্যাচই দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে। ম্যাচগুলো চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। ৩ নবেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ও ১১ নবেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। আটমাস পর এবার জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবার দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারির পর থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল দেশের মাটিতে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। আর তাই দেশের কোন স্টেডিয়ামেই খেলা হয়নি। ফেব্রুয়ারির পর মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে খেলে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি হয়। ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। এরপর ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। আফগানদের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে হয় এশিয়া কাপ। গত মাসে হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালেও খেলে বাংলাদেশ। মাঝখানে ২২ দিন বিরতি থাকল। রবিবার থেকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। এবার দেশের মাটিতে খেলা হবে। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে এবার খেলবে বাংলাদেশ দল। দলটির বিপক্ষে ২০০৫ সালের আগে প্রতিনিয়তই হারতো বাংলাদেশ। পাত্তা পেত না। জেতা দূরে থাক লড়াই করাই যেন আসল লক্ষ্য ছিল। ২০০৫ সাল থেকে দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে। এরপর থেকে বাংলাদেশ জিততে শুরু করল সিরিজও। এখন তো জিম্বাবুইয়েই পাত্তা পায় না। রবিবার ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। যে ফরমেটের ক্রিকেটে বাংলাদেশ আবার যে কোন প্রতিপক্ষের জন্যই ভয়ঙ্কর দলে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষ দল এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে খেলতে নামলে জিতবেই এমন ভাবতেই পারে না। উল্টো হারের সম্ভাবনাও যে অনায়াসে থাকতে পারে সেই ভাবনাও যেন কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। জিম্বাবুইয়ে দলটি তো বাংলাদেশের চেয়েও অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। যদিও সিরিজে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের মতো দেশের সেরা দুই ক্রিকেটার নেই। সেই হিসেবে বাংলাদেশ দলের শক্তি খর্ব হয়েছে। তবে যে ক্রিকেটাররা আছেন, তারাই জিম্বাবুইয়েকে হারিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। নিজেদের সামর্থ্য উজাড় করে দিতে পারলেই হলো। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তামিম ও সাকিবকে ছাড়াই জিতেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতকেও হারানোর পর্যায়েই চলে গিয়েছিল। স্কোরবোর্ডে রান কম হওয়ায় ভারতের ভাগ্য ভাল থাকায় জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তামিম ও সাকিব ছাড়াও যে শক্তিশালী দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ সেই প্রমাণ দিয়েছে। এবার এ দুইজনকে ছাড়া জিম্বাবুইয়েকে হারানোর পালা। একদিন পর রবিবার থেকে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে তা খুবই সম্ভব।
×