ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

শেখ হাসিনাই জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, অভিভাবক

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২০ অক্টোবর ২০১৮

শেখ হাসিনাই জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, অভিভাবক

ছেলেবেলায় এক অংকের শিক্ষক দেখিয়েছিলেন ০ (জিরো) একটা সংখ্যা সত্য; কিন্তু অন্যের সাহায্য ছাড়া এর কোন সংখ্যামূল্য নেই। একটা নয়, দুটি নয় দশটা জিরো (০) এক সঙ্গে যোগ করলেও রেজাল্ট সেই ০ই হয়। যেমন ০+০+০ = ০ । অংকটির প্রভাব রাজনীতিতে বেশ চলে। রাজনীতি করার অবাধ অধিকারের সুযোগে দেশে প্রচুর দল গজিয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। প্যাড ছেপে গণমাধ্যমে একখানা বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দিলেই হলো। হয়ে গেল রাজনৈতিক দল। একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার মতো সমর্থক না থাক তাতে কি, টেলিভিশনের টক শোতে অংশগ্রহণ বড় কথা। মিডিয়ার এডিটর, চীফ এডিটর হতে যেমন লেখাপড়া না হলেও চলে তেমনি টক শোতে যাওয়ার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না। গ্রামের টাউট-সালিশদের মতো মুখ চালাতে পারলেই হলো। ভদ্র ভাষায় যাদের বলা যায় ‘ছোট দলের বড় নেতা।’ এই বড় নেতাদের তৎপরতা আবার বেড়ে যায় জাতীয় নির্বাচন এলে। কোন এক জোটে যোগ দিতে পারলে অন্তত বড় নেতার আসনটি নিশ্চিত হলো। সাম্প্রতিক এমনি ছোট দলের বড় নেতাদের একটা ভাঙ্গা-গড়ার খেলা জাতি প্রত্যক্ষ করল। ক’দিন আগে মহানগর নাট্যমঞ্চে দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে গণমাধ্যমে যে ছবি সরবরাহ করেছেন এবং তাদের চেহারায় যে হাসি-জেল্লা দেখা গেছে তাতে এটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল আর মাত্র আড়াই মাস, তার পরই শেরে বাংলা নগর পার্লামেন্ট ভবনে আসন। আর পায় কে? প্রক্রিয়ায় দেখা গেল ড. কামাল হোসেন, ডাঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখকে। এরা এক সময় বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছাড়া বাকিরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন। ড. কামাল হোসেন এবং আ স ম আবদুর রব মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু ক’দিন যেতে না যেতেই শুরু হলো ভাঙ্গন। বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তদীয় পুত্র মাহি বি. চৌধুরী পরিষ্কার ভাষায় বললেন, রাজাকার জামায়াত-শিবির থাকলে তারা বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবে না, গেলেনও না। আলাদা রাস্তা ধরলেন। ড. কামাল, আ স ম রব, মান্না বিএনপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন। মির্জা ফখরুল, ব্যারিস্টার মওদুদরা এক হাতে জামায়াত-শিবিরকে ধরে রাখলেন আরেক হাতে ড. কামাল হোসেনের হাতে হাত রাখলেন। ড. কামাল হোসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী বলে আওয়ামী লীগে থাকতে বলা হতো। ইদানীং কেবল বিএনপির লোকেরা বলে। তাদের সঙ্গে আবার একত্রিত হলেন মুক্তিযোদ্ধা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ এবং নিজে নিজে একাই এক শ’ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ডাঃ জাফরুল্লাহ সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধরা খাইলেন। এখন ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করেও শান্তি পাচ্ছেন না। ভুল তাড়া করে বেড়াচ্ছে। সেনাবাহিনীপ্রধান বলে কথা। এখন ভদ্রলোকের ঘুম হয় কিনা জানি না। হওয়ার কথা নয়। ধরা খেয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনও। কে না জানে এই লোক যেখানে যাবেন সে জায়গা ধ্বংস করার জন্যে শত্রুর প্রয়োজন নেই। আমি জানি আরও বেশি। ৩২ বছর দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করেছি। দেখেছি তিনি ইত্তেফাকের মতো অপ্রতিদ্বন্দ্বী গণমাধ্যমকে কিভাবে ধ্বংস করে দিলেন। মরহুম আসফ-উদ-দৌলা রেজা, মরহুম হাবিবুর রহমান মিলন, মরহুম গোলাম সারওয়ারের নেতৃত্বে অত্যন্ত ডেডিকেটেড এবং মালিকদের চেয়ে বেশি মেধাবী জানাশোনা সংবাদকর্মী দিন-রাত খেটে ইত্তেফাকের সার্কুলেশন আড়াই হাজার থেকে তিন লাখের ওপরে নিয়ে গিয়েছিলেন। সার্কুলেশন কিংবা ক্র্যাডিবিলিটির দিক দিয়ে অন্য কেউ ধারেকাছেও ছিল না। সেই ইত্তেফাক একদিন দুই মালিক থেকে এক মালিকের হলো, অর্থাৎ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পত্রিকাটি নিয়ে অভিশপ্ত টিকাটুলীর মোড় ছেড়ে চলে গেলেন। এখনও যেটুকু বেঁচে আছে তাও মঞ্জু সাহেবের হাতেই চলে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দি নিউনেশনের প্যাডে (এক কপিও বিক্রি হয় না) সম্পাদকম-লীর সভাপতি পরিচয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন ‘সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কিত বিতর্কের ব্যাখ্যা’ এই শিরোনামে। যদিও এই শিরোনামটি প্রশ্নাতীত নয়, আপত্তিকর বলে মনে করি। এর একটা কপি প্রেসক্লাব সভাপতিকেও পাঠিয়েছেন, অর্থাৎ আমাকে। তার বক্তব্যে মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কিত বিতর্ক হবে কেন, হওয়া উচিত ছিল তার নিজের অশোভন উক্তির ব্যাখ্যা। আমি নিজেই একাত্তর টিভির সেই টক শোতে দেখেছি তাকে বাসায় কানেক্ট করা হয়েছিল। মাসুদা ভাট্টি একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক ও কলামিস্ট। তিনি অন্যতম পার্টিসিপেন্ট ছিলেন টক শোর। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেছিলেন- ‘আপনার তো কোন দল নেই। আপনি কোন্্ ক্যাপাসিটিতে বিএনপির সঙ্গে জোটে যোগ দিলেন। তবে কি আপনি জামায়াত-শিবিরের প্রতিনিধি?’ ব্যারিস্টার মইনুল ক্ষেপে গিয়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীনা’ এমনি কয়েকটি আপত্তিকর মন্তব্য করলেন। আরও বলেছেন- * ‘তার রাজনৈতিক সত্তা ও সততা নিয়ে দারুণ আপত্তিকর ও অবমাননাকর বক্তব্য রেখেছেন। * অবাধ নির্বাচনের দাবিতে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঠিত হওয়ায় কিছু লোক বেসামাল হয়ে যাওয়ার কারণ আমি বুঝি।’ আমি নিজে সেই টক শোটি দেখেছি। তাই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাহেবের বাক্যটি গ্রহণযোগ্য নয়। কোন ভদ্র সন্তান একজন নারীকে ‘চরিত্রহীনা’ বলতে পারেন না। তা-ই বলেছেন মইনুল হোসেন। তিনি যে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীনা’ বলেছেন ব্যাখ্যায় তা উল্লেখ করেননি। বরং বলেছেন ‘তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি না, তাই তার ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলারও প্রশ্ন ওঠে না।’ অথচ আমি শুনেছি বলেছেন। এভাবে হাইড করা ভদ্রলোকের পরিচায়ক নয়। আর ‘ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ায় কিছুলোক বেসামাল হয়ে যাওয়ার কারণ আমি বুঝি।’ বক্তব্যে তার ‘সত্তা ও সততার’ কথা বলেছেন। তাহলে গত ১০ বছর এই সত্তা-সততা কোথায় ছিল? মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের ড্রয়িং রুম থেকে বেরোবার পর গত ১০ বছর তাকে ঘরের বাইরে কেউ দেখেনি। তাছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ায় কিছু লোকের ‘বেসামাল’ হওয়ার ব্যাপারটা ওনার ব্যাপারেই বেশি খাটে। অন্য মানুষের বেসামাল হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। মইনুল হোসেন, ড. কামাল নিজেই সারাজীবন রাজনীতিতে বেসামাল। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত। এই জাতীয় ঐক্য চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। শেখ হাসিনা গত এক দশকে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় দেশকে যে সম্মান, মর্যাদার যতখানি উঁচুতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই বলেই বিএনপি নেতা ভাড়া করার পথে নেমেছে। একটি নির্বাচন করতে হলে একজন নেতা লাগে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারে যেমন বিশ্বের তিনজন সাহসী রাষ্ট্রনেতার একজন বা দুজন সৎ রাষ্ট্রনেতার একজন রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনা রয়েছেন, তেমনি আগামী নির্বাচনেও এই সৎ সাহসী মেধাবী সংগ্রামী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের পেছনে কাতার বেঁধে নির্বাচনে নামতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই। বলতে হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর থেকে অদ্যাবধি শেখ হাসিনার সমকক্ষ কোন নেতার জন্ম হয়নি। ভবিষ্যত দৃষ্টির মধ্যেও কেউ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি কি অর্জন করেছে কিংবা কিভাবে এমন সম্মান, মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার বিস্তারিত বলতে হলে ভলিয়মের পর ভলিয়ম গ্রন্থ রচনা করতে হবে। দৃশ্যমান কাজগুলোই যথেষ্ট তাঁকে মূল্যায়নের। বিএনপি-জামায়াতের তো নেতাই নেই। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কারারুদ্ধ। তাও আবার বিদেশ থেকে পাওয়া এতিমের টাকা তছরুপ। বিষয়টি সাংঘাতিক নয় কি? একজন প্রধানমন্ত্রী ঘুষ দিয়ে কালো টাকা সাদা করেন, আবার ছেলেকে হাওয়া ভবন বানাতে দিয়ে অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার সুযোগ করে দেন, এসব যিনি পারেন তার পক্ষেই এতিমের টাকা তছরুপ করা সম্ভব। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে বিচারক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়। হামলায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও দলীয় নেতা আইভি রহমানসহ ২৪ জন সঙ্গে সঙ্গে নিহত এবং কয়েক শ’ আহত হন। আহতদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ হানিফ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গ্রেনেডের স্পিøন্টার বয়ে বয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। অনেকে এখনও দুর্বিষহ জীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৪ বছর পর সেই গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে খালেদার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং তারেকের সব অপকর্মের সহযোগী লুৎফুজ্জামান বাবরের ফাঁসির আদেশ হলেও তারেকের হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদ-। দুটিই ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট। আজ প্রশ্ন উঠেছে বাবরের ফাঁসি হলে তারেকের নয় কেন? আদালত রায়ের অবজারভেশনে এটাও বলেছে যে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই গ্রেনেড হামলা হয়েছে। অর্থাৎ একটি সন্ত্রাসী দলের সরকার আর তার সঙ্গে আছে জঙ্গী সন্ত্রাসী জামায়াত-শিবির। এই খুনী চক্রের সঙ্গে ড. কামাল হোসেন হাত মেলালেন, যিনি গণতন্ত্রের কথা বলতে বলতে পাগল হওয়ার অল্প বাকি। মইনুল হোসেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নেতা আ স ম আবদুর রব এবং আওয়ামী লীগের বিরোধিতাকারী ও দলছুট মাহমুদুর রহমান মান্না এরা ওই সন্ত্রাসী-খুনী দলের সঙ্গে হাত মেলালেন নিজেদের অতীত ভুলে। লক্ষ্য শুধু একটাইÑ বিএনপির আঁচল ধরে কোন রকম ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট অর্জন। কিন্তু সে গুড়েও যে বালি। প্রধান নেতা খালেদা এবং ভারপ্রাপ্ত নেতা দ- গলায় নিয়ে একজন কারাগারে, আরেকজন বিদেশে পলাতক। ডুবন্ত মানুষ যেমন খুড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়, তেমনি বিএনপিও খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে। তাই ড. কামাল তাদের কাছে বড় নেতা। ড. কামাল হোসেনের একটু পরিচয় দেয়া দরকার। ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ট্র্যাজেডির পর জার্মানিতে অবস্থানরত দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। তারপরও আওয়ামী লীগ তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করে বিচারপতি সাত্তারের বিরুদ্ধে। সম্ভবত সে কারণেই তিনি অতি উচ্চাভিলাষী হয়ে ওঠেন এবং শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেকে ভাবতে শুরু করেন। যে কারণে তিনিও মইনুল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মান্নার মতো কক্ষচ্যুত হয়ে পড়েছেন। সেখানে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় জেনেও হাত ধরার চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি মনে করে ড. কামালকে নিয়ে এগিয়ে যাবে। কিন্তু বাজারে প্রচলিত ধারণা হলো ভদ্রলোকের পকেটে সব সময় পাসপোর্ট, টিকেট থাকে। কখন উড়াল দেবেন কেউ জানে না। তাছাড়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তাকে ভাঙ্গে সাধ্য কার। ঢাকা ॥ ১৮ অক্টোবর ২০১৮ লেখক : সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সিনেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×