ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ যত উজ্জ্বল হয়েছে তা অন্ধকার করা যাবে না ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২০ অক্টোবর ২০১৮

 বাংলাদেশ যত উজ্জ্বল হয়েছে  তা অন্ধকার  করা যাবে  না ॥ মুহিত

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সর্বত্র মানুষের মঙ্গলের সুযোগ করে দিতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিগত দশ বছরে শেখ হাসিনা ঘোষিত সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে পূরণ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজগুলো পূরণ করতে এবং সরকারের উন্নয়ন ও জনবান্ধব উদ্যোগকে আরও তরান্বিত করতে জনগণের ঐক্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে এখন ঝুপড়ি নেই। আলোর ঝলমলের দেশ। বাংলাদেশ যতটুকু উজ্জল হয়েছে সেটাকে অন্ধকার করা যাবে না। শুক্রবার সকালে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলার ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৭টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের শুরু থেকেই বিদ্যুত নিয়ে অনেক বেশি চিন্তাভাবনা ছিল। এটা নিয়ে সরকার বেশি কাজ করেছে। আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। বিদ্যুতের উৎপাদন ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সারাদেশে এখন বিদ্যুতের সঙ্কট নেই। পুরো দেশ বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে। মানুষের জীবনমান এখন উন্নয়ন হয়েছে। ফলে উৎপাদনও বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজের অতীত স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রাজনীতি ও জীবনের স্বপ্নের কথা বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, একসময় দেখতাম বাংলাদেশে চারিদিকে হাহাকার, দরিদ্র মানুষের আর্তনাদ। এসব দেখে অনেক কষ্ট পেতাম। আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল সুযোগ পেলে এসকল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কিছু করব। আমার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। আমার জীবনের অবসরকালীন সময়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার সুবাদে এটা সম্ভব হয়েছে। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে সফল হয়েছি। এজন্য আমি তৃপ্ত এবং আনন্দিত। তিনি বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন একটি দেশপ্রেমিক সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি বলে এসকল কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তাই আমি আমার সংসদীয় আসনের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের দরিদ্রের হার হ্রাস প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে দরিদ্রের হার ছিল ৫৮ শতাংশ। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে তা এখন ২২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী পাঁচ বছর সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে সেটা ১০ শতাংশে নেমে আসবে। তিনি বলেন, ১০ শতাংশ যারা দরিদ্র থাকবে তাদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী, বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী, বিধবাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। যাদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় সবধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও পাবে। উন্নত দেশগুলোতেও এরকম ব্যবস্থা রয়েছে। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজাম মুনিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প পরিচালক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প সিলেটের সমন্বয়ক ও বিআরডিটিআই এর উপপরিচালক মোঃ গোলাম ছারোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ও এসডিএফ এর পরিচালক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী এএস মহসীন, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আফছর আহমদ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুফলভোগী সদস্য মাসুম আহমদ ও শিরিন আক্তার প্রমুখ।
×