ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরের তিন আসনই নৌকার শক্ত ঘাঁটি

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২০ অক্টোবর ২০১৮

 মাদারীপুরের তিন আসনই নৌকার শক্ত ঘাঁটি

সুবল বিশ্বাস, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরের তিন আসনই নৌকার শক্ত ঘাঁটি ও আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সহজেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাবেন এমন দৃঢ়তায় দৌড়ঝাঁপ নেই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে জেলার তিনটি আসন আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। তবে একেবারে যে নেই তা বলা সঠিক নয়। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এ জেলার মন্ত্রী-এমপিরা গত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। যদি বর্তমান এমপিদের মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে নির্বাচনে তাদের কোন বেগ পেতে হবে না। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর সব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী দলগুলো নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে। তবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর বিএনপি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিএনপি দ্বন্দ্বের কারণে থমকে আছে। যে কারণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় বিএনপি এখন কোণঠাসা। এদিকে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব সঙ্কটে। জেলার তিনটি আসনের ভোটারদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের কোন যোগাযোগ নেই। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মাদারীপুরে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান সংসদ সদস্যদেরই একক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ জেলায় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থীই রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ। জাতীয় পর্যায়েও তাদের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে এবং তারা প্রভাবশালী নেতা। অপরদিকে বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীর বেশিরভাগই নতুন মুখ হওয়ায় কারা জোট বা দলীয় মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে বিএনপিতে রয়েছে দ্বিমুখী দ্বন্দ্ব। বিএনপির জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মাদারীপুরে বাম সংগঠনগুলোর তেমন প্রভাব না থাকলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিছুটা সক্রিয় রয়েছে। তারা মাদারীপুরের তিনটি আসনেই প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল একটি সূত্র। মাদারীপুর ১৪ দলীয় এবং ২০ দলীয় জোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ছাড়া অন্য দলের দু’একজন নেতা থাকলেও কর্মী নেই। বর্তমান নৌ পরিবহনমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি এবং আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবেক হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ সৈয়দ আবুল হোসেন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপ নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার হেভিওয়েট প্রার্থী। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নে এলাকার বর্তমান এমপিদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়াও তারা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা। তাদের কারণেই ইতোমধ্যে জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। দৃশ্যমান উন্নয়নের জন্য তাদের জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা এখন মানুষের মুখে মুখে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-১ আসনের এমপি নূর-ই-আলম চৌধুরী ও মাদারীপুর-২ আসনের বর্তমান এমপি শাজাহান খান আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হতে পারেন। অপরদিকে মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি আফম বাহাউদ্দিন নাছিম আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন। তিনি তার সংসদীয় এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-, সভা-সমাবেশ করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে আলহাজ সৈয়দ আবুল হোসেন ও ড. আবদুস সোবহান গোলাপের নাম শোনা গেলেও তারা মাঠে নেই। এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ ভোটার ও জনগণের বাহাউদ্দিন নাছিমের রয়েছে গভীর সম্পৃক্ততা। এ কারণে তার নাম আলোচনার আগে উঠে আসে। মাদারীপুর-১ (শিবচর) শিবচর পৌরসভাসহ ১৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ আসন। পৌরসভা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের পরিসংখ্যানে এটি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। এ আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৮২৫ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত বলে ধারণা আওয়ামী লীগের। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদা ভাই’র) বড় ছেলে। তিনি এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যে কারণে এ আসনে আওয়ামী লীগের আর কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। তিনিই সম্ভবত এই নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একক প্রার্থী। মাদারীপুর-১ আসনের শিবচর উপজেলায় ১টি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীর সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। শিবচরের উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন তথা বহু সেতু-কালভার্ট, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা চিকিৎসা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ শিবচরকে একটি আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বহু ভাস্কর্য নির্মাণ করে ইতোমধ্যে শিবচরকে লাল-সবুজের জনপদে রূপান্তরিত করে সকলের মনে স্থান করে নিয়েছেন। এসব কারণেই তিনি শিবচরের গণমানুষের প্রিয় মানুষ হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন। দেশের বৃহৎ প্রকল্প পদ্মা সেতু, রেললাইন, ৬ লেন মহাসড়ক, অলিম্পিক ভিলেজ, পদ্মাপারে অর্থনৈতিক জোন, বেনারসি পল্লীসহ বহু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বর্তমান সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী। বিগত দিনের সাংগঠনিক কর্মকা- যাচাইবাছাই করে মনোনয়ন দিলে এ আসন থেকে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে শতভাগ আশাবাদী তিনি। এদিকে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি জামান কামাল নুরুউদ্দিন মোল্লার নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার সহধর্মিণী নাদিরা মিঠু চৌধুরী। মাদারীপুর-১ আসনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন। মাদারীপুর-২ (সদরের একাংশ এবং রাজৈর) মাদারীপুর পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ১০টি ও রাজৈর পৌরসভাসহ রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে মাদারীপুর-২ আসন গঠিত। জেলার মধ্যে মাদারীপুর-২ আসনটি সবচেয়ে বড়। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ২৬১। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি বর্তমান এমপি ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হতে পারেন। তিনি এ আসন থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মাদারীপুর-২ আসনের সদর উপজেলা ও রাজৈর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীর সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। এলাকায় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট, ইকোপার্ক, রিভার ওয়াকওয়ে, মেরিন একাডেমি, হর্টিকালচার সেন্টার, ফোরলেন সড়ক, বড় বড় সেতু নির্মাণসহ মাদারীপুর শহরকে উন্নয়ন করে একটি আধুনিক টাউন হিসেবে গড়ে তুলেছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান প্রতি মাসের প্রায় প্রতি সপ্তাহে ৩/৪ দিন মাদারীপুরে অবস্থান করে দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে সভা-সমাবেশ করে আসছেন। তার এ সব কর্মকা-ের জন্য তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে শাজাহান খানকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারও এমপি নির্বাচিত হবেন বলে এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে। মাদারীপুর-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলার নাম শোনা যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলার এ আসনে রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। তৃণমূলে তার অবস্থান ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে তার কর্মকা- ছিল প্রশংসনীয়। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অংশের ভোটার তাকে সদালাপী নেতা হিসেবে চেনে। তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন। মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপির কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতোমধ্যে তিনি স্থানীয় পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দোয়া চাইছেন। অন্যদিকে বিএনপির সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সম্পাদিকা, ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান। দীর্ঘদিন এলাকার ভোটার ও কর্মীদের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। যে কারণে তিনি তার আগের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। এলাকায় তার অনুপস্থিতির কারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবুও হেলেন জেরিন খান মাদারীপুর-২ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। অপরদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন। এ আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্য। এজন্যই তিনি এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে যাচ্ছেন। তবে তার প্রচার রাজৈর কেন্দ্রিক বলে জেলা বিএনপির সঙ্গে তার দূরত্ব রয়েছে। মাদারীপুর-৩ (মাদারীপুর সদরের একাংশ এবং কালকিনি) মাদারীপুর সদরের ৫টি ইউনিয়ন, কালকিনি পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে মাদারীপুর-৩ আসন গঠিত। ভোটার ২ লাখ ৮৩ হাজার ২২৩। এই আসনে আলোচনায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান এ আসনের সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিম রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। এ ছাড়াও চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা আলোচনায় থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তাদের কোন উপস্থিতি নেই। মাদারীপুর-৩ আসনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম রূপকার বর্তমান সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের বিশেষ অবদান রয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে এবং মাদকবিরোধী অভিযানে আওয়ামী লীগের এই নেতা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে হেভিওয়েট নেতাদের একজন তিনি। তার কর্মকা-ের জন্য কালকিনিবাসীর কাছে ইতোমধ্যেই তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-, সভা সমাবেশ করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ ভোটার ও জনগণের সঙ্গে বাহাউদ্দিন নাছিমের রয়েছে গভীর সম্পৃক্ততা। এ কারণে তার নাম আলোচনার আগে উঠে আসে। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের সুখে-দুঃখে বাহাউদ্দিন নাছিমকে কাছে পাচ্ছে বলে বহু ভোটার মন্তব্য করেছেন। যারা নির্বাচিত হয়ে এলাকায় থাকেন না বা আসেন না; নির্বাচনের পর জনগণের সঙ্গে যাদের কোন যোগাযোগ থাকে না এমন কোন প্রার্থীকে জনগণ ভোট দেবে না। ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনে আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের অবস্থান সুদৃঢ়। মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার। এ আসনে তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি মাঝেমধ্যে কেন্দ্রীয় নানা কর্মসূচী হাতে নিয়ে এলাকায় এসে নেতাকর্মীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বলে অনেককে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। মাদারীপুরের তিনটি আসনের ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকে হানা দেয়ার কেউ নেই। এসব আসনে আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন পাবেন তাদেরই বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। কারণ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম এখন পর্যন্ত শীর্ষে উঠে এসেছে; তারা প্রত্যেকেই হেভিওয়েট প্রার্থী ও যোগ্য। তাদের রয়েছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যাপক পরিচিতি। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রশংসনীয় অবদান রাখার কারণে তারা সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছেন।
×