ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামাল এ যুগের মীরজাফর ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ২০ অক্টোবর ২০১৮

 ড. কামাল  এ যুগের  মীরজাফর ॥  নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল এবং মহাজোট বিজয়ী হলে, বার বার বিজয়ী হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই হবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ নেই। কিন্তু জ্বালাও পোড়াও-এর দল যারা নেতার নাম জানে না তারা নির্বাচিত হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী তা মির্জা ফখরুল ড. কামালগংরা জানেন না। কেন জনগণ তাদের ভোট দেবে প্রশ্ন রেখে নাসিম বলেন এমন ঘটনা একটি রাজনৈতিক দলের জন্য লজ্জাজনক। তিনি শুক্রবার তার নির্বাচনী এলাকা কাজীপুরে উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবনসহ ৫টি উন্নয়ন কর্মকা-ের উদ্বোধন করে উপজেলা পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে এসব বক্তৃতায় তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান এবং মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং ইল, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, কোরিয়া ইপিজেডের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গাীর সা’দাত, এলজি ইলেক্ট্রনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডং কন সন এবং শোকেস কোরিয়ার অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার একটিও গ্রহণযোগ্য নয়। আদর্শ ছাড়া কোন লক্ষ্য পূরণ হয় না। তাদের কোন আদর্শ নেই। ওই সময় কামাল হোসেনের রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেন এখন বিএনপির দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু আমরা তার সামর্থ্য সম্পর্কে জানি; কারণ তিনি এক সময় আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। ’৮৬ সালে কিংবা ’৯১ সালেও নির্বাচনে নৌকা নিয়ে তিনি হেরেছিলেন। সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন এই নেতার রাজনৈতিক খায়েশ কোনদিন পূর্ণ হবে না। তোফায়েল আহমেদ বলেন, কিছু নীতিবান লোক, যারা সব সময় নীতির কথা বলে এখন তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথা বলছে। গণতন্ত্র মানে কি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা? ২০১৩ সালের মতো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা? পেট্রোলবোমা মারা, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা? কূটনীতিকদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের মতবিনিময়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, তারা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে ভাবছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আর কোন কাজ নেই যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বসে থাকবে। বিএনপিসহ সরকারবিরোধীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুসরণ করেই নির্বাচন হবে এবং তাতে কেউ না এলেও কোন সমস্যা হবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কেনিয়ার নির্বাচন হয়েছে। প্রথম দফায় নির্বাচন হওয়ার পর বিরোধী দল হেরেছে। আবার নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এবার আর বিরোধী দল আসেনি। নির্বাচন হয়ে গেছে। একইভাবে জিম্বাবুইয়েতে নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল বর্জন করলেও নির্বাচন হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স দু’দিনব্যাপী কোরিয়া শোকেস ২০১৮ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। শোকেস কোরিয়া ২০১৮তে কোরিয়ার ২০টি এবং বাংলাদেশের ১৩টি মোট ৩৩টি কোম্পানির ১০০টি স্টল রয়েছে। প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রনিকস, গাড়ি, সিরামিক পেপার, কসমেটিক্স। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। আগামী বছর এ মেলা কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশর বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ অনেক যন্ত্রপাতি আমদানি করে থাকে, সে কারণে আমাদের আমদানি বেশি। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাংলাদেশ কোরিয়ায় রফতানি করেছে ২৩৮.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য; একই সময়ে আমদানি করেছে ১ হাজার ২৬৮.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ বিশ^মানের ওষুধ উৎপাদন করছে। কোরিয়া কম মূল্যে বাংলাদেশ থেকে বিশ^মানের ওষুধ আমদানি করতে পারে। বাংলাদেশ এখন ১২৯টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার অন্তত ৩০০ কোম্পানি ব্যবসায়িক কাজে যুক্ত আছে। ভবিষ্যতে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান এই দেশে ব্যবসা চালু করবে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
×