ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

ঝলক

মনিবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থেকে থেকে পোষা যে কোন প্রাণী একপর্যায়ে মানুষের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। তখন মনিব যা করেন প্রাণীটিও তাই করতে চায় এবং সে সব সময় ওইটাই ধারণের চেষ্টা করে। কিন্তু মনিবের সবকিছু কি আর পোষা প্রাণী হুবহু করতে পারে? সম্প্রতি মনিবের নাচের সঙ্গে হুবহু তাল মিলিয়ে নেচে একটি কুকুর যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, তাতে মনে হয়- মনিবের সবই করতে পারে পোষা প্রাণী! পোষা প্রাণীকে যা শেখাবেন, তা-ই শিখবে। সেটা কঠিন নাচ হোক বা অন্য কিছু। এ ধরনের ক্যাপশনে কুকুরের নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে নাচটি এবং অনেকেই সেটাকে শেয়ার করেছেন পোষা প্রাণীর শেখার দৃষ্টান্ত দিতে। ভিডিওতে দেখা গেছে, সমুদ্রের পাড়ে সাদা একটি কুকুর তার মনিবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচছে। এ সময় মনিব যেভাবে পা ফেলছিলেন, কুকুরও সেভাবেই পা রাখছিল। যা ছিল একদম হুবহু এবং অসাধারণ।- ওয়েবসাইট রবিনহুড ব্যাংকার রবিনহুডের কথা মনে আছে? রাজা, ধনীদের সম্পদ লুট করে গরিবদের বিলিয়ে দিতেন। এবার বাস্তবে ঘটেছে এমন ঘটনা। গত সাত বছর ধরে রবিনহুডের মতো কাজ করে আসছিলেন ইতালির ফোরনি দি সোপরা শহরের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। ওই ব্যাংকের ম্যানেজার গিলবার্তো বাসচিরা ধনীদের এ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরিয়ে গরিবদের দিয়েছেন। এই কাজের জন্য তিনি ইতোমধ্যে ‘রবিনহুড ব্যাংকার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০০৯ সালে বিশ্ব মন্দার সময় থেকেই গিলবার্তো এই কাজ শুরু করেন। কারণ ওই সময়ে তার ব্যাংকের অনেক গ্রাহক নির্ধারিত জামানতের অভাবে ঋণ নিতে পারছিলেন না। অভাবী মানুষের কষ্ট ভীষণ নাড়া দেয় তাকে। ফলে তিনি তুলনামূলক ধনী গ্রাহকদের এ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সরিয়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল গ্রাহকদের এ্যাকাউন্টে জমা করে দিতেন। এতে অসচ্ছল গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে শুরু করেন। তবে তিনি গ্রাহকদের শর্ত দিয়েছিলেন তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হলে টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। এভাবে তিনি অনেক মানুষকে সাহায্য করেছেন। কেউ কেউ অর্থ ফেরত দিলেও অনেকেই অর্থ ফেরত না দিয়ে শহর থেকে সটকে পড়েছেন। এভাবে গত সাত বছর গিলবার্তো গোপনে মানুষকে সাহায্য করলেও চলতি বছর জানাজানি হয়ে যায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করে। বিচার শুরু হয় গিলবার্তোর। দুই বছরের জেল হয়েছে তার। এছাড়া নিজের চাকরি খুইয়েছেন, এমনকি নিজের বাড়িটাও হাতছাড়া হয়েছে ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে। এত কিছুর পরও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন গিলবার্তো। তিনি বলেন, ‘আমি একটি পয়সাও নিজের জন্য নিইনি। সবসময় গ্রাহকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে চেয়েছি। যারা অভাবী তাদের সাহায্য করেছি।’ তার আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল এই ঘটনার জন্য এখন অনুতপ্ত। তিনি যদি নিজের চাকরি আবার ফিরে পান তবে দ্বিতীয়বার এই কাজ করবেন না।’- বিবিসি
×