ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডাঃ জাফরুল্লাহ, মইনুল এবং মান্নার লাগামহীন বক্তব্যে ক্ষোভ ;###;ড. কামালের বিএনপি-জামায়াত এজেন্ডা

পাকিপ্রীতি নারী বিদ্বেষ ॥ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

পাকিপ্রীতি নারী বিদ্বেষ ॥ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য

বিভাষ বাড়ৈ ॥ বিএনপির আশীর্বাদপুষ্ট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের লাগামহীন মিথ্যা, পাকিপ্রীতি আর নারীবিদ্বেষী বক্তব্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াত ইস্যুতে ড. কামালের আপোসের মধ্যেই তিন নেতা ডাঃ জাফরুল্লাহ, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও মাহমুদুর রহমান মান্নার লাগামহীন বিতর্কিত বক্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। টেলিভিশন টকশোতে নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশের নারী সাংবাদিকসহ পুরো সাংবাদিক সমাজ। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে জাফরুল্লাহর মিথ্যাচার, মইনুল ও মান্নার পাকিপন্থী বক্তব্যেও বইছে সমালোচনার ঝড়। বিতর্কিত চেহারা প্রকাশের শুরুটা করেছেন জাতীয় ঐক্যের মূল নেতা ড. কামাল হোসেনই। হঠাৎ ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে হাজির হওয়া ড. কামাল বিশেষ কিছুর আশায় এক মাসের মধ্যেই জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী ইস্যুতে ইউটার্ন নিয়েছেন! বিএনপির সমর্থনে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার আশায় এখন আর স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াত নিয়ে ড. কামালের কোন আপত্তি নেই। এতদিন সরকার এ ঐক্যকে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বলে অভিযোগ করলেও এখন জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে ঐক্যের দুই পক্ষের বিরোধেই বেরিয়ে পড়ছে আসল চেহারা। নানা নাটকীয়তার মধ্যে ঐক্যের উদ্যোক্তাদের সাম্প্রতিক বয়ানই বলে দিয়েছে, ক্ষমতার স্বাদ পেতে ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য এখন বিএনপি-জামায়াত মদদপুষ্ট একটি রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। এমনকি ড. কামাল এখন দুর্নীতির দায়ে আদালতে বিচারের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকেও মনে করেন ‘রাজবন্দী’। হত্যার ষড়যন্ত্রসহ নানা অপকর্মে সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানের আশীর্বাদপুষ্ট এখন ড. কামাল। এসব কর্মকা-ের পর যার হাত দিয়ে এ ঐক্যের শুরু সেই ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরীই অভিযোগ করেছেন, ড. কামাল ঐক্যের ঘোষণাকে লঙ্ঘন করেছেন। ড. কামালের কর্মকা- নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনার মধ্যেই ডাঃ জাফরুল্লাহ, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও মাহমুদুর রহমান মান্নার লাগামহীন বিতর্কিত বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। টেলিভিশন টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে অপরাধ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন নারী সাংবাদিকরা। তা না হলে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিবাদ সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নারীদের দুটি দাবি দ্রুত না মানলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাংবাদিকরা। দাবি দুটি হলো ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে তিনি এ রকম ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকবেন। নারীদের পক্ষে বিবৃতি তুলে ধরে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি ও বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যুক্ত করার পর মাসুদা ভাট্টি তাকে একটি প্রশ্ন করতে চান এবং জানতে চান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আপনাকে শিবিরের একটি জনসভায় অংশ নিতে দেখা গেছে। সে কারণে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, আপনি কি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে উপস্থিত থাকছেন কিনা। প্রশ্নটি শেষ করার আগেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বলেন, আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। তবে, আমি আপনাকে একজন চরিত্রহীন বলতে চাই। কোন রকম উস্কানি ছাড়াই তিনি মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলেন। এর পরই সাংবাদিক সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, সাংবাদিকরা কি জিনিস, সেটা তিনি জানেন। মাসুদা ভাট্টি অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে তাকে প্রশ্ন করেন এবং এ রকম ন্যক্কারজনক মন্তব্যের পরও তিনি এই ব্যক্তিকে কোন কটূক্তি করেননি। নাসিমুন আরা আরও বলেন, এর মানে এই নয় যে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এই বক্তব্যকে বিনা চ্যালেঞ্জে যেতে দেয়া যায়। কারণ আমরা মনে করি, মাসুদা ভাট্টি একজন নারী বলেই সরাসরি তাকে চরিত্রহীন বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। কারণ নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি অনেক বাহবা পাবেন এবং এটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তিনি মাসুদা ভাট্টিকে আক্রমণ করতে গিয়ে সব নারীকে অপমান করেছেন এবং এজন্য তার যথাযথ শাস্তি আমরা দাবি করছি। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ব্যক্তিগতভাবে মাসুদা ভাট্টির কাছে ক্ষমা চাইলেও সেই ক্ষমা যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করে নাসিমুন আরা নারীদের পক্ষ থেকে দুটি দাবি তুলে ধরেন। এই দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে না মানলে আইনের আশ্রয় নেয়ার হুঁশিয়ারি জানান তিনি। সভায় এক খোলা চিঠিতে মাসুদা ভাট্টি বলেন, আমার দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝেছি যে, যুক্তিহীন মানুষই সাধারণত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। একজন নারীর ক্ষেত্রে বিষয়টি সব সময় তার চরিত্রকে নির্দেশ করে আক্রমণ করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, আপনিও (মইনুল) তার ব্যতিক্রম নন। একাত্তর টকশোর উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা আপনাকে বলেছেন, আপনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। এটা তিনি মেনে নেবেন না। কিন্তু আপনি অত্যন্ত রূঢ় হয়ে পুরো অনুষ্ঠানে কথা বললেন। বরাবরের মতোই সেটা ছিল আক্রমণাত্মক। তিনি আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় যখন আপনি আমাকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ক্ষমা চাইলেন তখন আপনাকে আমি বলেছি, যে অন্যায় কাজটি আপনি করেছেন একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন টকশোতে, তার সাক্ষী অনুষ্ঠানটির লাখ লাখ দর্শক। তাদের অগোচরে আপনি একটি ফোন করে ক্ষমা চাইলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে ক্ষমা করলেও যে অগণিত নারীকে আপনি অপমান করেছেন তাদের ক্ষোভ কোনভাবেই তাতে প্রশমিত হয় না। যেহেতু বিষয়টি ঘটেছে জনসমক্ষে সেহেতু আপনাকে আপনার বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক অপরাধ স্বীকার করে সব পক্ষের কাছে প্রকাশ্যে মার্জনা চাওয়াটা কাম্য। আশা করি, আপনি আমার ও আমার মতো অসংখ্য নারীর সম্মানহানির ক্ষতের জায়গাটি উপলব্ধি করবেন এবং প্রকাশ্যে সবার কাছে ক্ষমা চাইবেন। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাছিমা আক্তার সোমা, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুন্নী সাহা, মিথিলা ফারজানা, নাসিমা খান মন্টি, শাহনাজ মুন্নী, ফারজানা রূপা, সুপ্রীতি ধর, আঙ্গুর নাহার মন্টি, ফারহানা মিলি, নাদিরা কিরণ, মুনমুন শারমিন শামস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ। এ সময় মাসুদা ভাট্টি ছাড়াও নারীনেত্রী, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অন্য সাংবাদিকরাও। এক প্রতিবাদী লেখায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিক প্রভাষ আমিন। ‘মানিক মিয়ার ‘সুপুত্র’ ব্যারিস্টার মইনুলের বিচার চাই’ শিরোনামে এক লেখায় তিনি বলেছেন, একজন সম্মানিত নারীকে ‘চরিত্রহীন’ বলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দুটি অপরাধ করেছেন। একজন নারীর প্রতি যৌন হয়রানিমূলক শব্দ প্রয়োগ এবং একজন মানুষকে অপদস্থ করা। আমি চাই, দুটি আইনেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হোক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কায় আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু ব্যারিস্টার মইনুলের মতো লাগামহীন মানুষের জন্যই এ ধরনের আইন দরকার। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের সঠিক প্রয়োগ চাই। মাসুদা ভাট্টিকে গাল দেয়ার প্রতিবাদে নারী সাংবাদিকরা বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু এটা নিছক নারী ইস্যু নয়। মানুষের মর্যাদা উর্ধে তুলে ধরতে আমাদের সবাইকে প্রতিবাদ জানাতে হবে। গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকবে। যুক্তি, পাল্টাযুক্তি থাকবে, প্রশ্ন থাকবে, উত্তর থাকবে। কিন্তু গালি থাকবে না, ব্যক্তির চরিত্র হনন থাকবে না, নারীর অমর্যাদা থাকবে না। এদিকে আরেক টকশোতে ফ্রন্টের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না দাবি করেন, ‘বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল’। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় মইনুল বলেছেন, ‘পাকিস্তানই ভাল ছিল।’ এই দুই বক্তব্যের পর তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে মইনুল হোসেন চুপ আর মান্না তার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন। বক্তব্যকে পাকিস্তানপ্রীতি হিসেবে সমালোচনা করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। আবার মান্না এখনও তার বক্তব্যে অটল। বলে যাচ্ছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ বলে বহুল ব্যবহৃত বাক্যাংশকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে মান্না বলেন, বাংলাদেশ কোন্ দেশের রোল মডেল, বলেন তো? পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের চেয়ে ভাল। যাকে আমরা সবচাইতে সমালোচনা করি। এমন মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে সঞ্চালক বলেন ‘পাকিস্তানের অবস্থা আমাদের চেয়ে ভাল? মান্না বলেন, ‘হ্যাঁ, ডেফিনেটলি। তাদের গ্রোথ ইয়েটিয়ে সবদিক থেকে অনেক বেশি স্ট্যাবল এবং তাদের ইনস্টিটিউশনগুলো অনেক বেশি স্ট্যাবল। ওই আলোচনাতেই বাংলাদেশের মতো হতে চেয়ে পাকিস্তানের টকশোগুলোতে আকুতির কথা জানান সঞ্চালক এবং অপর আলোচক জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান। তবু মান্না তার বক্তব্য থেকে সরতে চাননি। বলেছেন, আমি মনে করি না বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের চেয়ে ভাল। মান্না ও মইনুলের অবস্থানকে পাকিস্তানপ্রীতির প্রমাণ হিসেবেই দেখছেন অধিকাংশ মানুষ। তারা বলছেন, মান্নার এ বক্তব্য পাকিস্তানপ্রীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। মান্না সাহেবরা জামায়াত ইস্যু সুরাহা না করে যেভাবে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেছে, সেক্ষেত্রে তার মুখ থেকে পাকিস্তানপ্রীতি ছাড়া আর কী বেরুবে? অন্যদিকে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েই যাচ্ছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় ঐক্যের আরেক নেতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নিজেকে ‘গুরুতর অসুস্থ’ দাবি করে ভুল স্বীকারের পরও প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। সেনাপ্রধানকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের কী করেছেন, এখন তাও জানতে চেয়েছেন। জাফরুল্লাহর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও। সেনাবহিনী ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে হঠাৎ জাফরুল্লাহর এ তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। আবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমালোচনার মূলে পড়লেও একের পর এক বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। এ অবস্থানে তার বক্তব্যকে পরিকল্পিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
×