ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তাসামুলের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

তাসামুলের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে তৃতীয়দিনে এসে একটি সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে। তা করেছেন চট্টগ্রামের তাসামুল হক। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ১১৬ রান করেন তাসামুল। তবে এখনও বোলারদের হাতেই আছে ম্যাচগুলো। ঢাকা মেট্রোর তাসকিন আহমেদ যেমন ৫ উইকেট নিয়েছেন। তেমনি চট্টগ্রামের নাঈম হাসানও ৫ উইকেট শিকার করেছেন। খুলনার সৌম্য সরকার অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান। বল হাতে ৫ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ৭১ রান করেন। প্রথম স্তর ॥ খুলনায় স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রান করতে পেরেছিল। দ্বিতীয়দিন শেষে রংপুর ৪ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করতে পেরেছিল। ১০৪ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে তৃতীয়দিন তানভির হায়দারের অপরাজিত ৬৭ রানে ৩০০ রান অতিক্রম করে। শেষ পর্যন্ত ৩১৫ রান করতে পারে। খুলনা থেকে ১১ রানে এগিয়ে গিয়ে অলআউট হয়। খুলনার সৌম্য সরকার ৫ উইকেট শিকার করেন। এরপর ব্যাট হাতেও সৌম্য দেখান ঝলক। ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। সৌম্যের ৭১ রানের সঙ্গে তুষার ইমরানের অপরাজিত ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে খুলনা। ১৭০ রানে এগিয়ে রয়েছে খুলনা। আজ ম্যাচের শেষদিন। বরিশালে রাজশাহী-বরিশাল ম্যাচের দুইদিন বৃষ্টির জন্য খেলা হয়নি। তৃতীয়দিন ম্যাচের বোলাররাই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেখেছেন। বরিশাল আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি। ফরহাদ রেজা একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। রাজশাহী প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমেও বিপাকে পড়েছে। ৩ উইকেট নেয়া সোহাগ গাজী, ২ উইকেট করে নেয়া কামরুল ইসলাম রাব্বি, তানভির ইসলাম, মনির হোসেনের বোলিং নৈপুণ্যে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে রাজশাহী। ম্যাচে দুইদিনেই নাটকীয়তার দেখা মিলতে পারে। দ্বিতীয় স্তর ॥ বগুড়ায় ঢাকা মেট্রো প্রথমদিনে ২৮৭ রান করায় দ্বিতীয়দিন শেষ হওয়ার আগে চট্টগ্রাম ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করতে পারে। তাসামুল হক ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাসকিন আহমেদ ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। তৃতীয়দিনে তাসামুল সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ১১৬ রান করে তাসকিনের বলে সাজঘরে ফেরেন। তাসকিন আবার ৫ উইকেট শিকার করেন। তাসকিনের বোলিংয়েই ২৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম। তাসামুলের পর আর কোন ব্যাটসম্যানই যে ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রো ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করে। ওপেনার সাদমান ইসলাম ৬২ রান করেন। সৈকত আলীর ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। ৫ উইকেট নেয়া নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে ঢাকা মেট্রোও বিপাকে পড়ে। তবে তৃতীয়দিন শেষে ২৪২ রানে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা মেট্রো। ভাল অবস্থানেই আছে তারা। আজ চতুর্থ ও শেষদিনে শামসুর রহমানের (৩১*) সঙ্গে শরিফুল্লাহ (২*) ব্যাট করতে নামবেন। কক্সবাজারে সিলেট-ঢাকা ম্যাচে দুইদিন বৃষ্টির জন্য খেলাই হয়নি। তৃতীয়দিন খেলা হয়েছে। এই দিনটিতে সিলেট ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান করে। জাকির হাসান ৮৪ ও রাজিন সালেহ ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন। ম্যাচটি নিশ্চিত ড্র’র দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
×