ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রিজম্যানের জোড়া গোলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয় জয়

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

গ্রিজম্যানের জোড়া গোলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয় জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় অতিবাহিত করছে জার্মানি। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়া দলটি বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়েও আছে ব্যর্থতার বেড়াজালে। নতুন শুরু হওয়া উয়েফা ন্যাশন্স লীগের গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়া এখন সময়ের ব্যাপার জার্মানদের। দিনকয়েক আগে হল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়ার পর মঙ্গলবার রাতে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে এগিয়ে যেয়েও ২-১ গোলে হেরেছে জার্মানি। এটি ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয় জয় আর জার্মানির টানা দ্বিতীয় হার। ফরাসীরা দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লীগের এক নম্বর গ্রুপে শীর্ষে অবস্থান করছে। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে বিদায়ের পথে জার্মানি। এক ম্যাচ কম খেলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে হল্যান্ড। প্যারিসে পতনের ফলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক বছরে ছয়টি ম্যাচে হেরেছে জার্মানি। এ বছর জার্মানি যাদের বিপক্ষে হেরেছে সেসব দলের মধ্যে আছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, অস্ট্রিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, হল্যান্ড ও সর্বশেষে ফ্রান্স। বছরটি তাই দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দিয়েছে জার্মানির কাছে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অবশ্য প্রথমেই জার্মানকে গোল করে এগিয়ে নেন টনি ক্রুস। পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার। তবে সেই সুখ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে এ্যান্টনিও গ্রিজম্যানের জোড়া গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে বছরের সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ড গড়ে জোয়াকিম লোয়ের শিষ্যরা। ৬২ মিনিটে প্রথম গোলের পর ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেন গ্রিজম্যান। গত ২০ বছরের মধ্যে একই বছরে প্রতিযোগিতামূলক চার ম্যাচে হারেনি জার্মানি। এমন সময়কাল তারা কাটিয়েছে ১৯৯৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০০০ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এমনকি গতকাল হারের মধ্য দিয়ে ২০০০ সালের পর এই প্রথম পরপর দুই প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হেরেছে তারা। এ বছর ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে জার্মানি। গত সেপ্টেম্বরে তারা গোলশূন্য ড্র করেছে ফ্রান্সের সঙ্গে। সামনের দিনগুলো হয়তো জার্মানির জন্য ভাল কাটতে পারে। ভাগ্য সহায় না হলে খারাপও কাটতে পারে। জোয়াকিম লোয়ের দল ন্যাশন্স লীগ শেষে আগামী ১৫ নবেম্বর রাশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবে। আর চারদিন পরই হল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও ন্যাশন্স লীগে মাঠে নামবে জার্মানি। প্রথমবারের মতো আয়োজিত উয়েফা ন্যাশন্স লীগের প্রাথমিক পর্বের খেলা প্রায় শেষের পথে। আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচগুলোতে সবদলই চেষ্টা করবে ফাইনাল রাউন্ডে খেলতে না পারুক অন্তত রেলিগেশন এড়িয়ে নিজেদের শীর্ষ পর্যায়ের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখা। বিশেষ করে ইউরো ২০২০’র ড্র কিংবা বাছাইপর্বকে সামনে রেখে কিছু কিছু দল এই ন্যাশন্স লীগকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ‘এ’ লীগের দুই নম্বর গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড। বর্তমানে বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডের সংগ্রহে আছে সমান ৬ পয়েন্ট। এক ম্যাচ হাতে রেখে রবার্তো মার্টিনেজের বেলজিয়াম হেড টু হেড রেকর্ডে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে। ফাইনালে খেলতে হলে আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডকে অবশ্যই বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। তিন ম্যাচে কোন পয়েন্ট সংগ্রহ না করা আইসল্যান্ড ইতোমধ্যেই রেলিগেটেড হয়ে গেছে। তিন নম্বর গ্রুপে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইতালির থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে আছে পর্তুগাল। শেষ ম্যাচে আজ্জুরিদের বিপক্ষে অন্তত ড্র করতে পারলেই তারা ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে ইতালিকে অবশ্য জিততে হবে ও পোল্যান্ডের সঙ্গে পর্তুগালের না জেতার আশায় থাকতে হবে। ইতোমধ্যেই এই গ্রুপ থেকে রেলিগেটেড হয়ে নেমে গেছে পোল্যান্ড।
×