ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি খোয়ানোর ভয়ে শার্লিজ!

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

চাকরি খোয়ানোর ভয়ে শার্লিজ!

‘শার্লিজ’ এক নামেই তাকে চেনে হলিউডপাড়া। চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার অস্কারও পেয়েছেন তিনি। তাঁর নাম ডাক রয়েছে বিশ^ব্যাপী। সারাবিশে^ তার অসংখ্য ভক্ত। তবু তিনি চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন। ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে শার্লিজ জানান, ‘আমার সব সময় আশঙ্কা থাকে এই বুঝি আমাকে চলচ্চিত্র থেকে বের করে দিল। একটি চলচ্চিত্রের শূটিং শেষ হলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি সময়ই মনে হয় আমি নতুন চাকরি শুরু করেছি। আমার ভয় লাগে, এই বুঝি আমাকে বের করে দেওয়া হলো।’ থেরন একজন দক্ষিণ আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি হলিউডের অনেক চলচ্চিত্রেই অভিনয় করেছেন। যেমন: দ্য ডেভিলস্ এ্যাডভোকেট (১৯৯৭), মাইটি জো ইয়ং (১৯৯৮), দ্য সিডার হাউস লস (১৯৯৯), মনস্টার (২০০৩), ইতালিয়ান জব (২০০৩), হ্যানকক (২০০৪), আ মিলিয়ন ওয়েজ টু ডাই ইন দ্য ওয়েস্ট (২০১৪), ম্যাড ম্যাক্স : ফিউরি রোড (২০১৫) এবং দ্য ফেইট অফ দ্য ফিউরিয়াস (২০১৭)। থেরন মনস্টার চলচ্চিত্রে সিরিয়াল কিলার আইলেন উউরনস এর চরিত্রে চিত্রায়নের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল, যার জন্য তিনি একাডেমি পুরস্কার, সিলভার বিয়ার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং সাউথ এ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এতবড় কোন শ্রেণীতে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি নর্থ কান্ট্রি নামের যৌন নিপীড়নের-থিমযুক্ত নাটকটির অভিনয়ের জন্য একাডেমি পুরস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং জেসন রেইটম্যানের ২০১১ সালের ইয়ং এডাল্ট চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন পান। থেরন ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক হয়ে ওঠেন, এর পূর্বে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকত্ব ধরে রেখেছিলেন। ২০০০ সালের শেষের দিকে, তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজকের ভূমিকায় চলে যান । ২০০৬ সালে, তিনি ইস্ট অব হাভানা ডকুমেন্টারিটি প্রযোজনা করেছিলেন। ২০১২ সালে তিনি অভিনয় করেছিলেন স্নো হোয়াইট এ্যান্ড দ্য হান্টসম্যান চলচ্চিত্রে রানী রভেনা চরিত্রে এবং প্রমিথিউস চলচ্চিত্রে মেরিডিথ ভিক্সার চরিত্রে। উভয় চলচ্চিত্রই বক্স অফিসে সাফল্য লাভ করেছিল। তিনি ২০১৬ সালের ফলো-আপ চলচ্চিত্র দ্য হান্টসম্যান : উইন্টারস ওয়ার চলচ্চিত্রে কুইন রেভেনার ভূমিকায় নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৬ সালে, টাইম ম্যাগাজিন তাদের বার্ষিকী ম্যাগাজিনে ১০০ সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকাতে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। থেরন জন্মগ্রহণ করেন বেননি, তখন এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সওয়াল প্রদেশে ছিল। তিনি গারদা জাকাকা এলেটা (নিউ ম্যারিৎস) ও চার্লস জ্যাকুসের একমাত্র সন্তান। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এর বিখ্যাত ব্যক্তি ড্যানি থেরন ছিল তাঁর চাচা। থেরন আফ্রিকান পরিবার থেকে এসেছেন এবং তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ডাচ, ফরাসি ও জার্মান অন্তর্ভুক্ত। তার ফরাসি পূর্বপুরুষরা পূর্বে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের লোক। তিনি জোহান্সবার্গের কাছাকাছি বেননিতে তার মা-বাবার খামারে বড় হয়েছিলেন। থেরনের বাবা ছিল একজন মদ্যপ, ১৯৯১ সালের ২১ জুন থেরনের বাবা শারীরিকভাবে তার মাকে আক্রমণ করে এবং মাতাল অবস্থায় তাকে ও তার মা উভয়কে হুমকি দেয়; থেরন এর মা তখন গুলি করে তাকে হত্যা করে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল শূটিংটি ছিল আইনতভাবে আত্মরক্ষা করার জন্য, তাই তার মা কোন অভিযোগের সম্মুখীন হননি। থেরন পাসফন্টেনে প্রাইমারি স্কুলে (লারসকুল পুতফন্টেন) ভর্তি হয়েছিলেন, তিনি বলেন যে সেই সময়কালে তিনি ‘উপযুক্ত’ ছিলেন না। তেরোতে, থেরনকে বোর্ডিং জোহান্সবার্গের স্কুলে পাঠানো হয় এবং ন্যাশনাল স্কুল অব আর্টসে তার পড়ালেখা শুরু করেন। যদিও থেরন ইংরেজীতে প্রফুল, তবে তার প্রথম ভাষা হলো আফ্রিকান। তিনি একপেশে চিন্তার দিকটি ও তুলে ধরেন। লিঙ্গ বৈষম্যের কথা তুলে তিনি বলেন, ‘হলিউডে নারীরা ব্যর্থ হলে সেখান থেকে উঠে আসা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আর পুরুষেরা ব্যর্থ হলে বলে, ছবিটি হিট হয়নি। আর নারীর বেলা হলে বলবে, তার জন্যই ছবি ব্যর্থ হয়েছে।’ আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×