ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ ॥ দুলু সিংড়ায় অবাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ ॥ দুলু সিংড়ায় অবাঞ্ছিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১৭ অক্টোবর ॥ উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ এনে বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে নাটোরের সিংড়ায় অবাঞ্ছিত করেছে বিএনপি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিংড়া শহরের গোডাউনপাড়ায় পৌর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ এবং সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি দাউদার মাহমুদকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মুন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ফটিক, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম আনুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দাউদার মাহমুদকে সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি করার পর থেকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলছে। সে পৌর বিএনপির সভাপতি হওয়ার পর থেকে দলে বিভক্তি সৃষ্টি করে আসছিল। এই অবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশের অজুহাত দেখিয়ে দাউদার মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সে সময় দুলু বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দাউদার মাহমুদের কাছে পদ বিক্রি করে দেয়। এরপর থেকেই সিংড়া বিএনপির মূল ধারার নেতাকর্মীরা দাউদার মাহমুদকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছে। এর মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল, সংবাদ সম্মেলন করেছে মূল ধারার বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপরও গত ১৬ অক্টোবর জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু দাউদার মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করে চিঠি দেয়। এরপর থেকেই ফুঁসে ওঠে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ফটিক বলেন, সিংড়া বিএনপির সার্বিক হালচাল তুলে ধরে গত ৫ অক্টোবর ঢাকায় দুলুর সঙ্গে সকল নেতাকর্মী নিয়ে আমরা মিটিং করি। সেখানে দুলু ওই অবস্থায় সিংড়া বিএনপিকে রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দাউদার মাহমুদের কাছে উপজেলা বিএনপির পদ বিক্রি করে দেন। দুলু বিএনপি রক্ষা করার পরিবর্তে নেতাকর্মীদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছেন। তিনি বলেন, দাউদার মাহমুদ একজন আন্তর্জাতিক গাড়ি চোর চক্রের সদস্য। তার নামে একাধিক গাড়ি চুরির মামলা রয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসে গাড়িচুরির একটি মামলার রায় হবে। এ বিষয়ে দুলুর কাছে আমরা সকল প্রমাণ দিয়েছি। কিন্তু তারপরও সে দাউদারকে সাধারণ সম্পাদক করেছে।
×