ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছে পায়েল হত্যা মামলা

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছে পায়েল হত্যা মামলা

স্টাফ রিেেপার্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা বিষয়ক মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ‘চলতি মাসের ৪ অক্টোবর পায়েল হত্যা মামলার চার্জশীট দেয়া হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সভাপতিত্বে চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা বিষয়ক মনিটরিং কমিটির সভায় পায়েল হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বর্তমানে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হবে। তাদের যাচাই বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ মামলার বাদী পায়েলের মামা গোলাম সারোয়ার্দী জানান, ‘কয়েক দফায় চট্টগ্রাম থেকে মুন্সীগঞ্জ এসে মামলাটি যাতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যেতে পারে তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জেনেছি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে।’ ২১ জুলাই রাত সোয়া ১০টার দিকে হানিফ পরিবহনের বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন পায়েল। ভোর ৪টার দিকে পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস যানজটে আটকা পড়ে। এ সময় পায়েল বাস থেকে নেমে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। এরই মধ্যে বাস ছেড়ে দিলে পায়েল দৌঁড়ে বাসে উঠার চেষ্টা করলে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান। এ সময় বাসের চালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী ঝামেলা এড়াতে পায়েলকে ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেয়। ২৩ জুলাই সোমবার পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া পুলিশ। ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সারোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় বাসচালক জামাল, সুপারভাইজার জনি ও হেলপার ফয়সালকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ২৫ জুলাই আটক করা বাসের সুপারভাইজার জনি (৩৮) ও চালক জামাল হোসেন (৩৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এই মামলার অপর আসামি চালক জামাল হোসেনের ছোট ভাই ফয়সাল হোসেন।
×