ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের এক সময়ের এ্যাটর্নি ও বর্তমানে ডেমোক্র্যাট সদস্য মাইকেল কোহেনের অভিমত

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচন

যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন বর্তমান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হবে বলে মনে করেন মাইকেল কোহেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক এ্যাটর্নি কোহেন ওই পদ ছেড়ে সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। কোহেনকে দিয়েই ট্রাম্প পর্ন তারকা স্ট্রর্মি ড্যানিয়েলকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। চলতি বছরের শুরু থেকেই এ নিয়ে গণমাধ্যমে কোহেনের নামটি উচ্চারিত হয়ে এসেছে। সিএনএন। কোহেন চলতি সপ্তাহে বলেছেন, কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে আমাদের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই তিনি তার এ্যাটর্নির দায়িত্ব পালন করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দিয়ে কোহেনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হলেও তিনি পরে রিপাবলিকান দলে যোগ দেন। এরপর গত সপ্তাহেই তিনি তার পুরনো দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ফের নাম লিখিয়েছেন। কোহেনের এ্যাটর্নি ল্যানি ডেভিস গত বৃহস্পতিবার কোহেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থক হিসেবে পুনরায় নিবন্ধিত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেন। কোহেন রিপাবলিকান পার্টির অর্থায়ন কমিটির উপ-চেয়ারম্যানও ছিলেন। চলতি বছরেই তার অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে এক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ট্রাম্পের সঙ্গে পর্ন তারকা স্ট্রর্মির অবৈধ সম্পর্ক চাপা দিতে কোহেন অর্থ দিয়ে তার মুখ বন্ধ রাখতে একটি চুক্তি করেন। এই বিষয়টি এফবিআই তদন্তে জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। তিনি এরপর তদন্তে এফবিআইকে সহায়তা করতেও সম্মত হন। তখন থেকেই কোহেন হয়ে ওঠেন ট্রাম্প প্রশাসনের চক্ষুশূল। আগামী মাসে হতে যাওয়া কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন কোহেন। রবিবার তিনি এ বিষয়ে একটি টুইট করেছেন। তবে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। নির্বাচনের মাধ্যমে রিপাবলিকানদের এই অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করার একটি সুযোগ পাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। মাসখানেক আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে পরাজিত হলে সহিংসতা বেধে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটরা জয়লাভ করলে বর্ণবাদবিরোধী গোষ্ঠীর সহিংসতা ফিরে আসবে। নির্বাচনকে ‘বাক স্বাধীনতা ও ধর্মচর্চার স্বাধীনতা রক্ষার গণভোট’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।’ হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের একটি অডিও বার্তা ফাঁস হলে এটি জানা যায়। ৬ নবেম্বর দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে ওই বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন শুধু তার ক্ষমতা থাকা না থাকার গণভোটই নয়, এটি ইভানজেলিকদের ধর্মীয় এবং বাক-স্বাধীনতার জন্যও একটি গণভোট। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণ করার মতো যথেষ্ট আসন ডেমোক্র্যাটরা পাবে কিনা। দুই তৃতীয়াংশ আসন পাওয়া গেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোক্ষম জবাব দেয়া যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। অবস্থা অনুযায়ী নিজেদের এজেন্ডা ঠিক করছে দুই দল। মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলে বোঝা যাবে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কতটা নিচে নেমে গেছে বা বেড়েছে। যদিও ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই একের পর এক কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেফাঁস কথা বলে বহুবার সমালোচনার শিকার হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবেও একেবারেই কম তিনি জনপ্রিয়। মধ্যবর্তী নির্বাচনে সে কারণে ডেমোক্র্যাটদের এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার বিষয় নির্বাচনের ফলাফলে ঠিক কী ঘটে।
×