নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৬ অক্টোবর ॥ জেলার করিমগঞ্জের দেহুন্দায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় চার আসামির ফাঁসি এবং ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও রায়ে দ-প্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় দেন। রায়ে ফাঁসির আসামিরা হলেন- আল আমিন, মিজানুর রহমান, নাজমুল ও স্বপন মিয়া। আর যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দিদার, গিয়াস উদ্দিন সরকার, হাবিবুর রহমান হবি, দুলাল, ইসরাইল, জসিম উদ্দিন. রফিকুল ইসলাম মেম্বার, ইসলাম উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন, কাঞ্চন মিয়া, কাঞ্চন (২), আলম, সেলিম, লোকমান, হারুন, সোহেল, আজাদ, রুকন, রতন ও শামীম। দ-প্রাপ্ত আসামি প্রত্যেকেই জেলহাজতে রয়েছেন। ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার লাখপুর গ্রামের নূরুল্লাহর একটি মোবাইল ফোন চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে তার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে চরদেহুন্দা গ্রামের আল আমিন ও তার লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসামিরা মোঃ কুবেদ ও তার ভাতিজা জাকারুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুরুতর আহত হয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কুবেদ ও ঘটনার দুইদিন পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জাকারুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত কুবেদের স্ত্রী সুজাতা আক্তার বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মুর্শেদ জামান ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট আদালতে ২৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি এ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান ও এপিপি আব্দুস সালাম এবং আসামিপক্ষে এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন ফারুকী, এ্যাডভোকেট ফজলুল কবীর ও এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেছেন।
সিরাজগঞ্জে ২ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির আসামিদের উপস্থিতিতে এ দ-াদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কোবদাসপাড়া মহল্লার মোঃ আব্দুল মমিন (৪০) ও হাফিজুল ইসলাম ওরফে বাবু (৪২)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. আব্দুল হামিদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোর রাতে শহরের রানীগ্রাম মহল্লার আবু বক্কার এর স্ত্রী তাছলিমা খাতুন স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি রানীগ্রাম ক্লোজার এলাকায় রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কোবদাসপাড়া মহল্লার মমিন, হাফিজুল ইসলাম বাবু, সাগর, রাসেল ও ফিরোজ তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। তাকে কোবদাসপাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের ১নং গেটে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
