ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববাজারে কমেছে খাদ্যপণ্যের মূল্য

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

বিশ্ববাজারে কমেছে খাদ্যপণ্যের মূল্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্ববাজারে চিনি ছাড়া প্রায় সব পণ্যের মূল্য নিম্নমুখী। সেপ্টেম্বর মাসে গম, তেল, ভোজ্যতেল ও মাংসের দাম কমেছে। মূলত ব্যাপক সরবরাহের কারণে এসব পণ্যের দরপতন ঘটেছে। জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এফএও নিয়মিত খাদ্য শস্য, ভোজ্যতেল, দুগ্ধজাতীয় পণ্য, চিনি ও মাংসের বাজার দর পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে থাকে। এসব পণ্যের দর নিয়ে প্রণীত হয়েছে এফএও ফুড ইন্ডেক্স। প্রতিবেদন অনুসারে, সেপ্টেম্বর মাসে এফএও খাদ্যমূল্য সূচকের ছিল ১৬৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট, যা আগস্ট মাসের চেয়ে ১ দশমিক ৪ পয়েন্ট কম। অন্যদিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে এ সূচকটি ৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট কমেছে। এফএও বলছে, আলোচ্য সময়ে বিশ্ববাজারে শুধু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের দাম কমায় সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে। এফএও বলছে, আলোচ্য মাসে খাদ্যশস্যের সূচক কমেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ভুট্টার ব্যাপক ফলনের কারণে কমেছে ভুট্টার দাম। এ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চাল এবং গমের দামও কমেছে। রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ চাল-গম বিক্রির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য দুটির সরবরাহ অনেক বেড়ে গেছে। আর তাতেই কমেছে দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী। সেপ্টেম্বর মাসে টানা অষ্টম মাসের মতো এফএও’র ভেজিটেবল অয়েল প্রাইস ইনডেক্স কমেছে। আলোচিত মাসে সূচকটি ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের এক বছর আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। মূলত পাম তেল রফতানিকারক দেশগুলোতে তেলের ব্যাপক মজুদ থাকায় দামের ওপর তার প্রভাব পড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এফএও দুগ্ধজাত পণ্যের সূচক কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এ সময়ে মাংসের দামও সামান্য কমেছে। বিশ্বে চিনির সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ ব্রাজিলে অনাবৃষ্টির কারণে আখের উৎপাদনে ক্ষতির মুখে। এতে চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে এরপরও বিশ্ববাজারে চিনির দাম আগের বছরের সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে ২১ শতাংশ কম। এফএও’র পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছর বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হতে পারে ২৫৯ কোটি ১০ লাখ টন, যা গতবছরের চেয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ কম। স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় কমতে পারে গমের ফলন। তবে আলজেরিয়া ও রাশিয়ার বাম্পার ফলনের কারণে তা সমন্বয় হয়ে যাবে। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ ভুট্টা উৎপাদিত হতে পারে। তবে রাশিয়পান ফেডারেশনে তা কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে এশিয়া, বিশেষ করে ভারতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি জমিতে ধানের চাষ হওয়ায় চালের উৎপাদন গতবছরের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়তে পারে।
×