ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমন আবাদ বাড়লেও ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে চিন্তিত কৃষক

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

আমন আবাদ বাড়লেও ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে চিন্তিত কৃষক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমন চাষে মৌসুমের শুরুতে সেচ নিয়ে কিছুটা দুঃচিন্তা থাকলেও, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে রাজশাহীর কৃষকদের মাঝে এখন প্রশান্তির হাসি। কৃষি বিভাগের মতে, অনুকূল পরিবেশ আর পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় গেল বছরের তুলনায় এ বছর ধানের আবাদ বেড়েছে ৭ শতাংশ। লক্ষ্য অর্জনে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন তারা। এদিকে ভাল ফলনের আশায় কৃষকরা বুক বাঁধলেও শঙ্কিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা ও সরকারীভাবে ধান ক্রয়ে প্রকৃত কৃষকের অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি তাদের। কপালে চিন্তা রেখা নিয়ে তপ্ত রোদে সেচের পানিতে আমনের রোপণ শুরু করেছিল কৃষক। যদিও স্বল্প সময়েই ক্ষেতের তৃষ্ণার্ত বুক ভিজিয়েছে শ্রাবণ ও ভাদ্রের বৃষ্টি। তাতেই বিস্তৃত দিগন্তে ছড়িয়েছে ধানের সবুজ সতেজতা। অনুকূল পরিবেশ থাকায় গেল বছরের মতো নেই পচন, কারেন্ট পোকা ও পাতামরা রোগের প্রকোপ। সবমিলিয়ে ভাল ফলনের আশায় কৃষকের মুখে চওড়া হাসি। কৃষকরা জানান, বৃষ্টি হওয়ায় আর পানি দিতে হয়নি। ফলন ভাল হবে। সেই সঙ্গে ক্ষেতে পোকা-মাকড়ও লাগে নেই। প্রতি বছরের মতোই ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে সংশয়ে কৃষক। তারা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ আর প্রকৃত কৃষকরা সরকারীভাবে ধান বিক্রি করতে না পারলে ভাল ফলনেও হাপিত্যেশ কমবে না; বৈকি বাড়বে। কৃষকরা জানান, সরকার যদি বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে না কিনে কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে তাহলে কৃষক লাভবান হবে। অন্য আরেক কৃষক জানান, সরকার যদি সরাসরি আমাদের থেকে ধান ক্রয় করলে আমরা লাভ করতে পারব। যদি হাট থেকে ক্রয় করেন, তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব না। আর ফলনের পূর্ণতা দিতে আমন চাষের বাকি সময়গুলোতে এলাকা ভেদে কৃষককে সহায়তা দেয়া হচ্ছে জানালেন রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী। তিনি বলেন, আলোর ফাঁদ দিয়ে আমরা কি কি পোকা মাঠে এখনও আছে, সেটাকে শনাক্ত করছি এবং পোকা দমনের স্থানীয় কৃষি অফিসারদের নিয়ে আমরা সব সময়ই মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর ৭৫ হাজার ১৬৬ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে, যা গেল বছরের তুলনায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর বেশি। এর থেকে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন।
×