ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রুপীতে এলসি খোলার অনুমতি চায় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

রুপীতে এলসি খোলার অনুমতি চায় ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রুপীর বিপরীতে টাকার মান শক্তিশালী হলেও বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের আমদানি খরচ এখনও কমেনি। ডলারভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কারণেই রুপীর অবমূল্যায়নের সুবিধা স্বল্প সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এদিকে একই পরিমাণ টাকায় আগের তুলনায় বেশি রুপী পাওয়ায় সন্তুষ্ট ভারতগামী বাংলাদেশী ভ্রমণকারীরা। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার। দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ কাগজেকলমে প্রায় ৯শ’ কোটি ডলার। যদিও এরমধ্যে বাংলাদেশের আমদানিই ৮ শ’ কোটি ডলারের বেশি। এমন বাণিজ্যিক অসমতার মধ্যেই ভারতীয় মুদ্রা রুপীর বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক শ’ রুপী কিনতে খরচ হতো ১৩০ টাকা আর বর্তমানে লাগছে ১১৪ টাকা। সরল অংকের হিসাবে মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশের টাকার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে আমদানি করা ভারতীয় পণ্যের দাম কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। এর কারণ হিসাবে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, ডলারের ওঠানামার জন্য আমাদের চায়নার সঙ্গে আরএনবিতে এলসি খোলার একটা পারমিশন সরকার অলরেডি দিয়ে দিয়েছে। একইভাবে যদি ভারতের আই আর এসে খোলা যায় তাহলে হয়ত আমাদের জিনিসের দাম আমরা কমিয়ে আনতে পারব। গত দশ মাসে ডলারের বিপরীতেও রুপী দর হারিয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিনিময় হারের এমন ওঠানামর প্রভাব কমাতে, অনেক দেশই এখন ডলার নির্ভরতা ত্যাগের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশেরও এমন পথেই হাঁটা উচিত বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের মুদ্রাবাজারে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন হস্তক্ষেপ করছে না এমন মন্তব্য করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রফতানি চাঙ্গা করতেই হয়ত কমানো হয়েছে রুপীর মান। অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এটি একটি সাময়িক পরিস্থিতি খুব স্বল্পকালে এখান থেকে আমদানিকারক ও রফতানিকারকরা সুবিধা নিতে পারেন। এদিকে একই পরিমাণ টাকায় আগের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়তি রুপী পাওয়ায় ভারতে যারা ভ্রমণ বা চিকিৎসার উদ্দেশে যাচ্ছেন তাদের প্রাপ্তিটা সরাসরি। সবশেষ ২০১৩ সালে টাকা ও রুপীর বিনিময় মূল্য এখনকার পর্যায়ে পৌঁছেছিল। যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
×