ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় তিতলি এনেই দিল হিমবায়ু, বিপাকে হেমন্ত

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

 ঘূর্ণিঝড় তিতলি এনেই দিল হিমবায়ু, বিপাকে  হেমন্ত

সমুদ্র হক ॥ ঘূর্ণিঝড় তিতলি হিমবায়ু এনেই দিল! লাজুক ঋতু হেমন্ত এবার বিপাকে। কার্তিক পড়েছে। শরতের কাল অতিবাহিত। তবু অধিকার ছাড়ছে না। বর্ষা-শরতের চতুরতায় হেমন্ত চৌকাঠে হোঁচট খাচ্ছে। ধন্ধে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমিবায়ু বিদায় নিয়েছে। পশ্চিমাবায়ু বইতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তিতলি বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করেছে। রেখে গেছে মৃদু লঘুচাপ। আবহাওয়া অনেকটাই স্বাভাবিক। বাতাসে হিমভাব। গরম কমে গেছে। আবহাওয়াবিদগণ বলছেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে শীতল হাওয়া বইবে। যদিও শীতকাল শুরু ৫৯ দিন পর। বঙ্গোপসাগরে আরও লঘুচাপ সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। তা যদি হয়, তা হলে হেমন্তের অনেকটা সময় আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকবে। হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঋতুচক্রেও শরতের দাপট থাকবে। গত বছর অক্টোবর শেষে ছিল ভারি বৃষ্টি। পালিয়েছিল সাদা মেঘ। এবার হেমন্তের আকাশ কেমন থাকবে! জলবায়ু বিজ্ঞানীরা কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না। সাগরের উর্ধচাপ নিম্নচাপেও পালাবদল ঘটছে। কখন-কোথায় হঠাৎ ঝড়, জলোচ্ছ্বাস তৈরি করছে তারও রুটিন নেই। একি জলবায়ুর পরিবর্তন, না বিবর্তন, এ নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। আকাশের মেঘ দেখে অঙ্ক কষা যায় একটা, মেলে আরেকটির। আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস মেঘের ওপর নির্ভরশীল। মেঘের জীবনচক্র নিয়ে গবেষণা ও অনুসন্ধান করলে হেমন্তের বদলের একটা হিসাব বের করা যেত। বাংলাদেশে মেঘের জীবনচক্র নিয়ে তেমন গবেষণা হয় না। এক আবহাওয়াবিদ বললেন, মৌলভীবাজারের ওয়েদার রাডার ঠিক রাখা এবং রংপুর ও বগুড়া আবহাওয়া অফিসকে মেঘ পর্যবেক্ষণে আধুনিকায়ন করলে জলবায়ু পরিবর্তনের আগাম আভাস দেয়া সম্ভব হতো। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমাবায়ুর আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় জলীয়বাষ্প কম। তাই গরমের অনুভূতি কম থাকবে। আবার একই ধরনের তাপমাত্রায় জলীয়বাষ্পের হেরফেরে তাপানুভূতি কমবেশি হয়। মৌসুমিবায়ুর বিদায়ে বাতাসে জলীয়বাষ্প কমে গেছে। গরমও কমে আসছে। দিনকয়েক আগেও জলীয়বাষ্পের প্রাধান্য ছিল। মেঘ কম থাকায় টানা সূর্যালোকও ছিল। ফলে গরম বেশি অনুভূত হয়েছে। এখন এই অবস্থা কেটে গিয়ে শীতের আবহ চলে আসছে। প্রায় মাস ধরে থেমে থেমে দাবদাহের যে ধারা ছিল তা কেটে যাচ্ছে। কুয়াশা আর শিশির ঝরা শুরু।
×