ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে আবার পাহাড় ও দেয়াল ধস ॥ ৪ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

  চট্টগ্রামে আবার পাহাড় ও দেয়াল ধস ॥ ৪ জনের প্রাণহানি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ টানা বর্ষণ চলার কারণে শঙ্কা দানা বেঁধেছিল বিভিন্ন মহলে। প্রশাসন ছিল তৎপর। কিন্তু যাদের জন্য এ প্রয়াস তারাই কোন প্রকার নিয়মকানুন মানে না। মৃত্যু হতে পারে এমন আশঙ্কাও তাদের তাড়িত করে না। শেষ পর্যন্ত যে আশঙ্কা দানা বেঁধেছিল তাই ঘটল। আবারও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। পাশাপাশি দেয়াল ধসের একটি ঘটনাও রয়েছে। এ দুই ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত টানা চার দিন ভারি বর্ষণ হয়েছে। বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোর পাদদেশ থেকে লোকজনদের সরানোর চেষ্টা চলেছে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রাণান্তকর চেষ্টা সত্ত্বেও পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে সকলকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। শেষ মুহূর্তে ঘটে গেল ধসের দুই ঘটনা। শনিবার মধ্যরাত ও রবিবার ভোরের দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর ও ফিরোজশাহ কলোনিতে পাহাড় ও দেয়াল ধসের দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাব সম্পূর্ণ কেটে যাওয়ায় সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য জারি করা সতর্কতা সঙ্কেত সরিয়ে নিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত ৪ দিন ধরে চলছিল হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ। একটানা বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর পাহাড়গুলোর মাটি নরম হয়ে যায়। ধসের ঘটনা ঘটতে পারে এমন পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়া বিভাগের। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। সংস্থাগুলোর চেষ্টা ছিল পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেয়া। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। গত শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এরপরও যে অনেকেই থেকে গিয়েছিল তা প্রমাণিত হয়েছে পাহাড় ধসে প্রাণহানির মধ্য দিয়ে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, নগরীর পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকায় রবিবার রাত ১টার দিকে একটি দেয়াল ধসে পড়ে। এতে চাপা পড়েন নুরে আলম নান্টু (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। রাত ১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। ফিরোজশাহ কলোনি এলাকার ঘটনাটি আরও মর্মান্তিক। ভোর পৌনে ৫টার দিকে সেখানে পাহাড় ধসে মারা যায় একই পরিবারের ৩ সদস্য। তারা হলেন যথাক্রমে বিবি জোহরা (৬৫), তার কন্যা নুরজাহান (৪৫) এবং নুর জাহানের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে ফয়জুন্নেসা।
×