ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের কাছে ৩১ রানে হার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার

বিফলে মালিঙ্গার পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

বিফলে মালিঙ্গার পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডাম্বুলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। তবে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয়টি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। বুড়ো লাসিথ মালিঙ্গার ভয়ঙ্কর বোলিং সত্ত্বেও ৯ উইকেটে ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ২৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ১৪০ রান। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩১ রানের জয় পায় ইংলিশরা। ৯১ বলে ৯২ রানের চমৎকার ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। বিফলে গেছে ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র পঞ্চম বোলার হিসেবে মালিঙ্গার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের অর্জন। এই জয়ে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। ক্যান্ডিতে তৃতীয় ম্যাচ বুধবার। ১০ ওভারে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা। ওয়ানডেতে এ নিয়ে তিনি ৫ উইকেট পেলেন মোট আটবার। তাতেই ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট গ্লেন ম্যাকগ্রাকে। ম্যাকগ্রা ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নিয়েছিলেন সাতবার করে। ওয়ানডেতে ইনিংসে মালিঙ্গার চেয়ে বেশিবার ৫টি করে উইকেট শিকারের কীর্তি আছে শুধু চারজনের। তার মধ্যে শহীদ আফ্রিদি ও ব্রেট লি পাঁচ উইকেট নিয়েছেন নয়বার করে। কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরলিধরন পেয়েছেন ১০ বার। সবচেয়ে বেশি ১৩ বার পাঁচ উইকেট নেয়ার রেকর্ডটা সাবেক পাকিস্তান তারকা পেসার ওয়াকার ইউনুসের দখলে। ৩৫ বছর ৪৬ দিন বয়সে ৫ উইকেট নিয়ে আরও এক কীর্তি গড়েছেন মালিঙ্গা। ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেয়া চতুর্থ বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার তিনি। তারচেয়ে বেশি বয়সে ৫ উইকেট নিয়েছেন রবিন সিং (৩৫ বছর ২৫৪ দিন), ওয়াসিম আকরাম (৩৬ বছর ২৫৮ দিন) ও স্যার রিচার্ড হ্যাডলি (৩৭ বছর ২১৮ দিন)। ব্যতিক্রম এ্যাকশনের অধিকারী পেসার মালিঙ্গা পুরো এক বছর ছিলেন ওয়ানডে দলের বাইরে। এশিয়া কাপে ফিরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে আবারও জ্বলে উঠলেন। ডাম্বুলায় আগে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডকে শ্রীলঙ্কা যে ২৭৮ রানে থামাতে পেরেছে এর পুরো কৃতিত্ব মালিঙ্গার। ইনিংসের চতুর্থ বলেই জেসন রয়কে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার। শুরুর ধাক্কা সামলে জো রুট (৭১) ও অধিনায়ক ইয়ন মরগানের ব্যাটে একটা সময় তিন শ’ রানের স্বপ্ন দেখছিল সফরকারীরা। ৪১ ওভার শেষে ইংলিশদের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ২১৬ রান। মরগান তখন নম্বইয়ের ঘরে। এরপরই শুরু মালিঙ্গা ‘ম্যাজিক’। ৪২তম ওভারে দারুণ এক স্লোয়ারে ৯২ রান করা মরগানকে ফেরান নিজের ফিরতি ক্যাচে। পরের বলেই ইয়র্কারে এলোমেলো করে দেন আরেক বাঁহাতি মঈন আলীর স্টাম্প। মালিঙ্গা হ্যাটট্রিকটা অবশ্য পাননি। তবে নিজের নবম ওভারে নিয়েছেন আরও ২ উইকেট। প্রথমে স্লোয়ার-ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ করেন ক্রিস ওকসকে। আম্পায়ার যদিও প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় শ্রীলঙ্কা। আরেকটি ইয়র্কারে লিয়াম ডসনকে বোল্ড করে পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। ম্যাচসেরা মরগান তার ৯২ রানের ইনিংসটি সাজান ১১ চার ও ২ ছক্কায়। দলীয় ৩১ রানে চতুর্থ ও ৭৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার ইনিংসে দনঞ্জয়া ডি সিলভা (৩৬*) ও থিসারা পেরেরা (৪৪) সবে প্রতিরোধ গড়ছিলেন, তখনই শুরু হয় বৃষ্টি। ৩ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড ॥ ২৭৮/৯ (৫০ ওভার; রয় ০, বেয়ারস্টো ২৬, রুট ৭১, মরগান ৯২, স্টোকস ১৫, বাটলার ২৮, মঈন ০, ওকস ৫, ডসন ৪, রশিদ ১৯*, স্টোন ৯*; মালিঙ্গা ৫/৪৪, প্রদীপ ১/৫২, দনঞ্জয়া ১/৬৪, থিসারা ১/৩৭, সান্দাকান ০/৫৯, ধনঞ্জয়া ১/১৯)। শ্রীলঙ্কা ॥ ১৪০/৫ (২৯ ওভার; দিকয়েলা ৯, থারাঙ্গা ০, চান্দিমাল ৯, কুশল পেরেরা ৩০, শানাকা ৮, দনঞ্জয়া ৩৬*, থিসারা ৪৪*; ওকস ৩/২৬, স্টোন ১/২৩, ডসন ১/২৬, মঈন ০/৪৭, রশিদ ০/১৫)। ফল ॥ ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ইংল্যান্ড ৩১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মরগান (ইংল্যান্ড)। সিরিজ ॥ পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে।
×