ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিয়ানজিনে শিরোপা লড়াইয়ে পিসকোভা-গার্সিয়া

হংকংয়ে একদিনে দুই জয়ে ফাইনালে ওয়াং

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

হংকংয়ে একদিনে দুই জয়ে ফাইনালে ওয়াং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিছুদিন আগেও চীনের সেরা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছিল ঝ্যাং শুয়াইয়ের। কিন্তু এখন তাকে টপকে সবার মুখে মুখে জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে ওয়াং কিয়াংয়ের নাম। গত সেপ্টেম্বরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডব্লিউটিএ শিরোপা জিতেছিলেন গুয়াংঝু ওপেনে এবং চীনের এক নম্বর খেলোয়াড় হয়ে যান তিনি। এবার আরেকটি শিরোপার কাছে তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে আগেরদিন বিশ্বের ৫ নম্বর ইউক্রেনের এলিনা সিতোলিনার বিপক্ষে ৬-২, ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। বৃষ্টিতে বিঘিœত সেই ম্যাচটি শনিবার সকালে মাত্র ১০ মিনিট খেলেই জিতে যান ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে। আর সন্ধ্যায় সেমিফাইনালে স্পেনের ৪ নম্বর বাছাই গারবিন মুগুরুজাকে হারিয়ে উঠেছেন ফাইনালে। ওয়াংয়ের শিরোপা জয়ের পথে বাধা এখন ইউক্রেনের আরেক তারকা ডায়ানা ইয়াস্ট্রেমস্কা। অপরদিকে ওয়াংয়ের জন্ম নেয়ার শহর তিয়ানজিনে ফেবারিট দু’জনই উঠেছেন ফাইনালে। সেমিতে এক নম্বর বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা পিসকোভা ও দুই নম্বর বাছাই ফ্রান্সের ক্যারোলিন গার্সিয়া সরাসরি সেটের জয়ে এখন শিরোপা লড়াইয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। দীর্ঘদিন ধরেই শুয়াই বেশ আলোচিত ছিলেন। তবে ওয়াং প্রথমবার একটু ঝলক দেখিয়েছিলেন ২০১৩ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকে হারিয়ে। তখন ডেনিশ এই সুন্দরী র‌্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বরে ছিলেন। তবে এরপর আর তাকে সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওয়াংয়ের উত্থান ঘটেছে চলতি বছর। জুলাইয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডব্লিউটিএ শিরোপা জেতার মাধ্যমে তার এই নতুন শুরুর সূত্রপাত। স্বদেশী ঝেং সাইসাইকে হারিয়ে জিয়াংশি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন। ফ্রেঞ্চ ওপেনে সবার নজর কাড়েন ভেনাস উইলিয়ামসকে সরাসরি সেটে বিধ্বস্ত করে। এরপর বেজিং ও উহান ওপেনে ক্যারোলিনা পিসকোভাকে হারিয়ে নিজের সামর্থ্য ও যোগ্যতার প্রমাণ দেন তিনি। গত মাসে আবার চীনের শীর্ষ খেলোয়াড় শুয়াইকে হারিয়ে গুয়াংঝু ওপেন জিতে নিজেই হয়ে যান দেশের এক নম্বর। ক্যারিয়ারের এ দুটি ডব্লিউটিএ তাকে পৌঁছে দিয়েছে ক্যারিয়ারসেরা র‌্যাঙ্কিং ২৪ নম্বরে। তিনি শুক্রবারই নিশ্চিত করেছিলেন হংকং ওপেনের সেমিতে উঠবেন। তবে সিতোলিনা আগামী মাসে ডব্লিউটিএ ফাইনালসে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করতে আশা ছাড়েননি। শনিবার সকালে একটি ব্রেক পয়েন্ট জিতলেও শেষ পর্যন্ত তাকে হারতেই হয়েছে। এতে করে আর তিনটি স্থানের জন্য তাকে আরও চারজনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। তাই হতাশ সিতোলিনা বলেন, ‘খুবই বাজে পারফর্মেন্স আমার। নিজের সামর্থ্যরে ২০ ভাগও খেলতে পারিনি আমি। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) থেকেই দারুণ খেলেছে ওয়াং। আমি খুবই হতাশ।’ গত চার মাসে দুটি ডব্লিউটিএ জেতা সিতোলিনা ফর্মের তুঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু হংকংয়ে এসেই ঠেকে যেতে হলো তাকে। অথচ গত আগস্টে ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে ওয়াংকে বিধ্বস্ত করেছিলেন সরাসরি সেটে। এখন গত আসরে সেমি খেলা ওয়াংই হংকং ওপেনের ফাইনালে। তিনি সেমিতে আরেক শক্ত প্রতিপক্ষ মুগুরুজার বিপক্ষে জিতেছেন ৬-৭ (৫-৭), ৬-৪ ও ৭-৫ সেটে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইয়াস্ট্রেমস্কা। এ ইউক্রেনের তরুণী ৭-৫, ৬-৪ সেটে হারিয়ে দেন ঝ্যাং শুয়াইকে। নিজের জন্মস্থান ছেড়ে যখন ওয়াং হংকংয়ে ঝড় তুলেছেন তখন তার শহর তিয়ানজিনে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে উঠে গেছেন পিসকোভা ও গার্সিয়া। সেমিফাইনালে সাবেক বিশ্বসেরা চেক তরুণী পিসকোভা ৬-২, ৬-১ সেটে উড়িয়ে দেন তিমিয়া ব্যাকসিঞ্জস্কিকে। অপর সেমিতে ফরাসী তারকা গার্সিয়া ৬-৩, ৬-৪ সেটে হারিয়ে দেন সিয়েহ সু-ওয়েইকে।
×