ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএল খেলা হচ্ছে না সাকিবের!

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

বিপিএল খেলা হচ্ছে না সাকিবের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল টি২০) এবার ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ষষ্ঠ আসর হবে এবার। এই আসরে ভালই বিপাকে পড়বে ঢাকা ডায়নামাইটস। দলের অধিনায়ক, বিশ্বসেরা বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানই যে খেলতে পারবেন না। ইনজুরির জন্য এবার বিপিএল খেলা হচ্ছে না সাকিবের। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করেন সাকিব। হাসপাতাল থেকে আগেই বাসায় ফিরেছেন। আজ দেশে ফেরার কথাও রয়েছে সাকিবের। সাকিবের বিপিএল খেলার পক্ষে নন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিশ্বকাপের ভাবনা মাথায় নিয়ে বিপিএল খেলা থেকে সাকিবের বিরত থাকার দিকেই মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে পুরো ফিট সাকিবকে চান বিসিবি সভাপতি। তার কথাবার্তাতে এমনই ইঙ্গিত মিলে। বিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘ওর সংক্রমণ কেন হলো এ উত্তরটাই তো পাচ্ছি না। সংক্রমণ ভাল হচ্ছে। এটা ভাল খবর। সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি এশিয়া কাপের আগে বলেছে সে একটা অস্ত্রোপচার করাতে চায়। যদি সে করতে চায় এটাই সেরা সময় (অস্ত্রোপচার করানো)। দুই মাস বিশ্রাম নিয়ে অস্ত্রোপচার করে ফেলাই ভাল। যথেষ্ট সময় আছে। বিশ্বকাপের আগে তাহলে সম্পূর্ণ সুস্থ সাকিবকে পাব। এখন যেসব খেলা আছে এসব না খেলাই ভাল। এটাই আমি মনে করি। কিন্তু আমার একার কথার ওপর হবে না।’ সাকিবের চোট নিয়ে আছে সুখবরই। সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পথেই আছে। এখন ব্যথাটা কমে গেলে খেলাও শুরু করতে পারবেন। কিন্তু কোনভাবে আবার ব্যথা অনুভব হলেই বিপদ। অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হবে সাকিবকে। তবে সংক্রমু দূর হয়ে গেলেও তিন মাসের আগে সাকিব খেলায় ফিরতে পারবেন না। ঢাকার আইকন ক্রিকেটার সাকিব। অধিনায়কও। সাকিব না খেলা মানেই একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে হারানো হবে ঢাকার। সেই সঙ্গে অধিনায়কও নতুন কাউকে দিতে হবে। সাকিব না খেললে ঢাকার ডক হবে এ নিয়ে ভাবতেই রাজি নন বিসিবি সভাপতি। তার সোজাসাপ্টা কথা আগে দেশের জন্য খেলা। এরপর বাকি সব। বিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজির কথা চিন্তা করে একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের কি হবে, এত কিছু বলা মুশকিল। অবশ্যই তাদের সমস্যা হবে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধান হয়তো তারা করবে। তবে সাকিবের পুরো ফিট হয়ে খেলা উচিত। মানুষের মধ্যে যখন সন্দেহ এসেছে যে এশিয়া কাপ খেলার কারণে তার এমন হয়েছে তাহলে এখন কোন সিরিজ-টুর্নামেন্টে খেলার দরকার নেই। বিপিএল-আইপিএলের চেয়ে এশিয়া কাপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ। আমরা চাই বিশ্বকাপটা সে পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলুক।’ বিসিবি সভাপতি চাচ্ছেন, সামনে যে খেলাগুলো আছে সেগুলো না খেললে যদি সাকিবকে বিশ্বকাপে পুরো ফিট পাওয়া যায় সেটাই হোক। এ জন্য সাকিবের বিপিএল, আইপিএল না খেলার পক্ষেই বিসিবি সভাপতি। তবে সভাপতি চাইলেও তো আসলে সাকিবের বিপিএল খেলতে পারার কথা নয়। ইনজুরি আগে থেকেই ছিল সাকিবের। বামহাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলের ইনজুরি হঠাৎ করেই কঠিন পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায়। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর ম্যাচটির আগেই সাকিবের ইনজুরি গুরুতর আকার ধারণ করে। সাকিব দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। পুঁজও বের করা হয়। অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়েছে যে দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হয় সাকিবকে। যাওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমে বলেও যান, আঙ্গুল শতভাগ কখনই আর ঠিক হবে না। তবে তিনি চান যেন খেলার মতো অবস্থায় আঙ্গুলের অবস্থা নিয়ে আসা যায়। সংক্রমণ দূর করাই সাকিবের আসল লক্ষ্য ছিল। সেই সংক্রমণ ধীরে ধীরে দূর হওয়ার পথেও আছে। এরপরও সাকিবকে খেলায় ফিরতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। যদি তাই হয় তাহলে ২৯ অক্টোবর ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট’ হওয়ার পর বিপিএল শুরু হতে আরও ৮০ দিনের মতো আছে। এই ৮০ দিনের আগেই সাকিবকে পুরোপুরি ফিট হতে হবে। যে অবস্থা জানা যাচ্ছে তাতে তা সম্ভব নয়। আর ঠিক হলেও নিশ্চয়ই হুট করেই এমন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলতে নামতে পারবেন না সাকিব? তাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, আঙ্গুলের উন্নতিতে বিশেষ কোন চমক ধরা না পড়লে বিপিএলে খেলতে পারবেন না সাকিব।
×