নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৩ অক্টোবর ॥ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের সামনে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ফরিদপুরগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাস কেড়ে নিল দুই স্কুলছাত্রীর তরতাজা প্রাণ। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরুদ্ধ কওে রেখে যানবাহন ভাংচুর ও ঘাতক গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসটি পুড়িয়ে দেয়।
নিহতরা হলো রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের যদু ফকির পাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম প্রামাণিকের মেয়ে চাঁদনী আক্তার ও অমর আলী মোল্যার পাড়া গ্রামের জামাল বেপারীর মেয়ে জাকিয়া সুলতানা কেয়া। তারা দু’জনই দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা গেছে, শনিবার বেলা ২টা থেকে শুরু হওয়া নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে ওই দুই শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে রিক্সাযোগে এসে মহাসড়কের নিজ বিদ্যালয়ের সামনে নামে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে তারা ছাতা নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের চাপা দেয়। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার কওে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাঁদনীকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকিয়া সুলতানার মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ সৃষ্টি করে যানবাহনে ভাংচুর চালায়। ঘাতক গোল্ডেন লাইনের বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। এ সময় দূরপাল্লার বাস পূর্বাশা পরিবহনের চালক চুয়াডাঙ্গা জেলার ইসরাইল মল্লিক গুরুতর আহত হয়। তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশালে কলেজছাত্র
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ক্যাথলিক মিশনের সামনে শনিবার দুপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম তামিম (২১) নিহত হয়েছে। নিহত তামিম উপজেলা সদরের চরগাধাতলী গ্রামের মাসুদুর রহমানের পুত্র। দুপুর দেড়টার দিকে আশোকাঠি থেকে মোটরসাইকেলযোগে তামিম গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে আসছিল। পথিমধ্যে ক্যাথলিক মিশনের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা থেকে বরিশালগামী সাকুরা পরিবহন তামিমকে চাপা দেয়।
বগুড়ায় বাসচালক
স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস জানায়, শনিবার ভোরে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দু’টি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অভি আলম (২৮) নামে এক বাসচালক নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভোর ৪ টার দিকে শেরপুরের হাজীপাড়া এলাকায় ঢাকা থেকে রংপুরগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মা মণি পরিবহন নামে অপর যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই এনা পরিবহনের চালক অভি আলম মারা যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: