ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি মেরকেলের সমর্থন

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি মেরকেলের সমর্থন

জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল মঙ্গলবার ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন। মেরকেল আলাপকালে জানান, তিনি দুই রাষ্ট্র সমাধান সমর্থন করেন। ইসরাইল সফর শেষে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি আব্বাসকে ফোন দেন। ৪ অক্টোবর তিনি ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে জেরুজালেমে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এএফপি। ফিলিস্তিনীদের প্রতি সহানুভূতির জন্য আব্বাস মেরকেলকে ধন্যবাদ জানান। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে আব্বাসের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। তিনি মনে করেন, ইসরাইলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র ভাল মধ্যস্থতাকারী নয়। ২০১৪ সালে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সর্বশেষ শান্তি আলোচনা হয়েছিল। জার্মান ও ইসরাইলী সরকারের মধ্যে নিয়মিত পরামর্শ হয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে মেরকেল ইসরাইল সফরে গেলেন। যদিও গত বছর শেষের দিকে একটি বৈঠক স্থগিত করা হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক কারণ হিসেবে সে সময়, নির্ধারিত সময়সূচীকে উল্লেখ করা হয়েছিল। অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলের বসতি স্থাপন সম্পর্কিত একটি আইন পাস করায় মেরকেল ক্ষুব্ধ ছিলেন। জার্মানি বলেছে, নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ওপর বিশেষ মনোনিবেশ করা হয়েছে। যেখানে ১০ বছর ধরে সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় কোন কিছুই হয়নি। জার্মানি ইহুদী বিদ্বেষের (এ্যান্টি সেমিটিজম) পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা হয়। মেরকেল তার সাপ্তাহিক ভাষণে বলেছেন, জার্মানি ও ইসরাইল একটি অনন্য সম্পর্ক দ্বারা সংযুক্ত। আমরা কৃতজ্ঞ যে আমরা এখন ঘনিষ্ঠ অংশীদার ও বন্ধু। মেরকেলের একদিনের সফরে ফিলিস্তিনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোন বৈঠক হয়নি। ইইউ দেশগুলো সবসময় ইসরাইলের ইহুদী বসতি স্থাপনের সমালোচনা করে আসছে। তারা ইসরাইল ও ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের অবসানে দুই রাষ্ট্রের সমাধানের ব্যাপারে বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোর হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। মঙ্গলবার খান আল আহমার গ্রামের লোকজন মেরকেলের ছবি নিয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তাদের সাহায্য করার আহ্বান জানায়। জার্মানিতে নিযুক্ত ইসরাইলের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইয়োরাম বেন-জেভ বলেন, মেরকেল সম্ভবত শুধুমাত্র সফরের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে যে গতিশীলতা তা এড়িয়ে গেছেন। আমি মনে করি যে, এই মুহূর্তে বিরোধের বিষয়ে ট্রাম্পের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে, নেতানিয়াহুর ডানপন্থী অবস্থান ও ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ‘অজনপ্রিয়তায়’ তিনি অন্য কোনদিকে অবস্থান নিতে আশা হারিয়ে ফেলেছেন।
×