ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাদুবিদ্যার মিউজিয়াম

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ১২ অক্টোবর ২০১৮

জাদুবিদ্যার মিউজিয়াম

শুধু ছোট বয়সে নয়, আবালবৃদ্ধবনিতা ম্যাজিক দেখে আমোদ পায়। জাদুকর আমাদের বোকা বানালেও রাগের বদলে মজা লাগে। ফ্রান্সে আধুনিক জাদুবিদ্যার জনকের জন্মস্থানে এক মিউজিয়ামে তার স্বাদ পাওয়া যায়। ফান্সের ব্লোয়া শহরে ‘হাউস অফ ম্যাজিক’-এ ছয় মাথার ড্র্যাগন দর্শকদের স্বাগত জানায়। জাদুর জাদুঘর বলে কথা, তাই বিস্ময়ের অভাব নেই। ডিডব্লিউর সাংবাদিক মেগিন লেই সেই মিউজিয়ামে গিয়ে বলেন, ‘যারা জাদু ও হাতসাফাই দেখে আমোদ পান, তাদের অবশ্যই এখানে আসা উচিত। ড্র্যাগন, তাসের ম্যাজিক, ম্যাজিক শো থেকে শুরু“করে বিভ্রমের আলাদা একটা কামরাও রয়েছে। এই মিউজিয়ামকে জাদুবিদ্যার মন্দির বলা চলে। গিয়ে দেখি, কথাটা ঠিক কিনা।’ মিউজিয়ামের ভেতরে জাদুর জগত। প্রথম দর্শনে যা মনে হয়, বাস্তবে তা একেবারেই ভিন্ন। সেখানে মাটিও মালের মতো জাদুকরও আছেন। তাসের ম্যাজিক দেখিয়ে তিনি আমাদের সহকর্মীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এই ধরনের ম্যাজিকের জন্য চাই ছলচাতুরি, দ্রুততা ও নিখুঁত হাতসাফাইয়ের ক্ষমতা। মাটিও সেই কাজে অত্যন্ত দক্ষ। গভীর মনোযোগ নিয়ে তাকিয়ে থেকেও মেগিন জাদুর কৌশল ধরতে পারলেন না। মাটিও মালে বলেন, ‘আমাদের সমাজে সব কিছু অত্যন্ত যুক্তিনির্ভর। জাদুই একমাত্র ক্ষেত্র, যার মধ্যে গোপনীয়তা, রহস্যের অস্তিত্ব রয়েছে। এটাই মানুষকে গোপন, জাদুময় জগত আঁকড়ে ধরার সুযোগ দেয়, সমাজে যার আর কোন জায়গা নেই।’ আধুনিক জাদুবিদ্যার জনক বলে পরিচিত জন-উজেন রোবের-উদ্যাকে উৎসর্গ করেই মিউজিয়ামটি তৈরি হয়েছে। ১৮০৫ সালে তিনি ব্লোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কাকতালীয়ভাবে তিনি প্যারিসে জাদুচর্চা শুরু করেন এবং নিজেই একটি থিয়েটার পত্তন করেন। তাঁর জাদুর কৌশল অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। ‘হাউস অফ ম্যাজিক’ অবশ্য সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না। কারণ এখানকার মূলমন্ত্রই হলো, ‘জাদুকর কখনও তাঁর সেরা কৌশলগুলি ফাঁস করেন না।’ মেগিন বলেন, ‘হাউস অফ ম্যাজিকে আমার সময় শেষ হচ্ছে এবং স্বীকার করতে হচ্ছে, যে কোন কৌশল ধরতে পারলাম না। তবে জাদু সম্পর্কে আমার আগ্রহ বেড়েছে। ব্লোয়া থেকে বিদায় জানাচ্ছি।’
×