ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতাল থেকে বাসায় সাকিব

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ১২ অক্টোবর ২০১৮

হাসপাতাল থেকে বাসায় সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নেই আছেন সাকিব আল হাসান। বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলের চিকিৎসা করাচ্ছেন। তবে এতদিন হাসপাতালে থাকলেও এখন সাকিব আছেন বাসায়। ভাল অবস্থানের দিকেই যাচ্ছে তার আঙ্গুল। সংক্রমণ কমে আসার দিকেই আছে। এমন অবস্থায় বাসায় গিয়ে কন্যার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সাকিব। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। বেশ কয়েকদিন ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকলেও ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে চালিয়ে যান খেলা। একে একে নিদাহাস ট্রফি, আফগানিস্তান সিরিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও সর্বশেষ এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচে অংশ নেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক। আঙ্গুলের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় এশিয়া কাপের মাঝ পথে দেশে ফিরে আসতে হয়। চিকিৎসকরা জানায়, বামহাতের কনিষ্ঠায় ইনফেকশন ধরা পড়েছে। আর তাই একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আঙ্গুলের থেকে পুঁজ বের করতে হয়েছে ৩১ বছর বয়সী এই তারকার। ইনফেকশন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় গত শুক্রবার অস্ত্রোপচারের জন্য স্ত্রী শিশির ও মেয়ে আলায়নাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যান বামহাতি এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন গ্রেগ জানান, সবকিছু ঠিক আছে। আপাতত তিন মাস অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। এই সময়ের মধ্যে ব্যথা কমে গেলে তখন বোঝা যাবে হাতে অস্ত্রোপচার লাগবে কি না। মেলবোর্নের হাসপাতালে পাঁচদিন থেকে ফিরেই বাপ-বেটি হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করেন সাকিব। এতে ভক্ত সমর্থকরাও প্রিয় তারকার সুস্থতা কামনা করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘আশা করছি সুস্থ হয়ে অতি দ্রুত ২২ গজে ফিরে আসবেন। অসুস্থ নামক শব্দটি আমাদের ভালবাসার মাঝে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘ভাই আপনি হাসলে হাসে বাংলাদেশ। আপনার হাসিতে মিশে আছে এক টুকরো বাংলাদেশ।’ সাকিব দ্রুতই দেশে ফিরে আসতে পারেন। চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সাকিব কঠিন একটি কথা বলে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আঙ্গুলটা আর কখনও শতভাগ ঠিক হবে না।’ সঙ্গে বলেছিলেন, ‘কারণ এটা হচ্ছে হাড্ডিটা যেটা নরম হাড্ডি। এটা আর কখনও জোড়া লাগার সম্ভাবনা নাই। তবে সার্জারিটা হবে এমন যে, ওরা এমন একটা সিচুয়েশনে এনে দিবে যেন আমি ব্যাট-ট্যাড ভালভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট খেলাটা চালাতে পারব। আসলে ইনফেকশন আমার সবথেকে বড় টেনশনের জায়গাটা। কারণ ওটা যতক্ষণ পর্যন্ত না জিরো পার্সেন্টে আসবে কোন সার্জন হাত দিবে না। কারণ ওখানে হাত দিলে পরে বোনে চলে যাবে আর হাড়ে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট। এখন আমার মেইন পয়েন্ট হচ্ছে কিভাবে ইনফেকশনটা সারানো যায়। অস্ট্রেলিয়ায় আমি ইনফেকশনের ট্রিটমেন্টের জন্যই যাচ্ছি, আর কোন ট্রিটমেন্টের জন্য যাচ্ছি না।’
×