ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে অপহৃত শিশুকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১২ অক্টোবর ২০১৮

গাজীপুরে অপহৃত শিশুকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে অপহরণের একদিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বোনের প্রেমিককে শায়েস্তা করতে গিয়ে ওই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক পোশাক কর্মী বাবু ইসলামকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম আব্দুল্লাহ আল নোমান (৫)। গাজীপুর সদর থানার বানিয়ারচালা এলাকার লোকমান হোসেনের ছেলে। জয়দেবপুর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, গাজীপুর সদর থানার বানিয়ারচালা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বাস করেন লোকমান হোসেন। ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে বাবু ইসলাম স্থানীয় জিটিসি গ্রুপের পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে এবং তার বোন শান্তা স্থানীয় মোশারফ কম্পোজিট কারখানায় চাকরি করে। তারা দিনাজপুরের কাহারোল থানার গুলিয়ারা গ্রামের মৃত জব্বর আলীর ছেলে ও মেয়ে। একই বাড়িতে বসবাস করার সুযোগে বাবু ইসলামের ডিভোর্সী বোন শান্তার সঙ্গে নোমানের (লোকমানের ছেলে) মামা আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় বাবুর সঙ্গে আলমগীরের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এক পর্যায়ে ওই বাসা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দু’বাড়িতে পৃথক বাসা ভাড়া নেয় বাবু ও শান্তা। কিন্তু আলমগীর এতেও থেমে না যাওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় বাবু। এর জেরে বুধবার সকালে বাসার পাশের খেলা করার সময় শিশু নোমানকে ডেকে কৌশলে বাবু তার ঘরে নিয়ে যায়। মুক্তিপণ আদায় ও আলমগীরকে শায়েস্তা করতে নোমানকে অপহরণ করে নিয়ে আসে বাবু। পরে বাবু এনার্জি ড্রিংকস ‘টাইগার’র সঙ্গে মাত্রারিক্ত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নোমানকে খাওয়ায়। এতে নোমান অচেতন হয়ে পড়ে এবং সেখানেই মারা যায়। দিনভর বাবু তার কক্ষে নোমানের লাশ লুকিয়ে রাখে। পরে রাত ১১টার দিকে লাশটি একটি ব্যাগে ভরে বাবু বাসে চড়ে টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে টপলেন পোশাক কারখানার উত্তরে ময়লার স্তূপে লাশটি ব্যাগ থেকে ফেলে রেখে বাবু বাসায় ফিরে যায়। জয়দেবপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও শিশু নোমানের সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশকে জানায়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাবু ইসলামকে সকালে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু নোমানকে হত্যার কথা স্বীকার করে বাবু। পরে তার দেয়া তথ্যমতে বিকেলে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে । সাভারে শিশু নিজস্ব সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে পিটিয়ে হত্যার পর গুমের উদ্দেশে মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই পুকুর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির নাম ইকরা মনি। সে তার বাবা-মার সঙ্গে পৌর এলাকার উলাইল মহল্লার জনৈক এহসান উল্লার মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া নেয়া একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করত। ইকরার বাবা মাখলুক আহমেদ স্থানীয় ডেনিয়েল টেঙ্গ নামে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত রয়েছেন। মাখলুক আহমেদ জানান, বুধবার তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে তার মৃতদেহ বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরে বস্তাটি ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইলে যুবক ও দিনমজুর নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, সদর উপজেলার বেগুনটাল এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবক (৩২) এবং ঘাটাইলে দিনমজুর আলম মিয়ার (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’টি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, সদর উপজেলার বেগুনটাল মির্জাপাড়া এলাকায় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ঘাটাইল উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে একটি ধানক্ষেত থেকে গলায় জামা পেঁচানো দিনমজুর আলম মিয়ার (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি নিয়ামতপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। পুলিশ ও নিহতের বাবা আজগর আলী জানায়, কাজের উদ্দেশে বুধবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে আলম বের হয়। এরপর আর ঘরে ফিরে না আসায় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বিরাহিমপুর গ্রামের লোক নিয়ামতপুর গ্রামে মাছ ধরতে আসে। এ সময় তারা ধানক্ষেতের ভেতরে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পটিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা পটিয়া থেকে জানান, পটিয়ায় পরকীয়ার বলি হয়েছে এক প্রবাসীর স্ত্রী। কৃষ্ণা দাশ (২৮) নামের গৃহবধূর লাশ পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার করেছে। সে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের মধ্যমপাড়ার গ্রামের নন্দন দাশের স্ত্রী। এলাকার লোকজন একই এলাকার শংকু দের পুত্র কাঞ্চন দে (২৬) কে উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়ার পর অপমানে কৃষ্ণা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। জানা গেছে, উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের মধ্যম পাড়া গ্রামের প্রবাসী নন্দন দাশের সঙ্গে বাঁশখালী উপজেলার অরুণ দাশের কন্যা কৃষ্ণা দাশের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে। নন্দন দাশ দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে রয়েছেন। এই সুযোগে এলাকার শংকু দের পুত্র কাঞ্চন দে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। বুধবার রাতে কাঞ্চন দে প্রবাসীর ঘরে ঢুকলে এলাকার লোকজন খবর পেয়ে তাকে ধরে মারধর করে শংকুর পিতাকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর প্রবাসীর স্ত্রী ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে দুইজন কৃষ্ণার বাপের বাড়িতে ছিল। বরিশালে বৃদ্ধ স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৭০ বছরের অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। হিজলা থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, স্থানীয়রা বাহেরচর গ্রামের একটি রাস্তার পাশের ডোবায় ৭০ বছরের অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশে খবর দেয়। সীতাকুণ্ডে ট্রাকচালক নিজস্ব সংবাদদাতা সীতাকুণ্ড চট্টগ্রাম থেকে জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকু-ে অংশে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে মোঃ সরোয়ার আলম (৪০) নামে এক ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বাড়বকু- বিদ্যুত অফিস সংলগ্ন বিপরীত পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাকচালক ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার আলিনগর মিছানগর এলাকার দুদু কাজীর ছেলে। জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকু- অংশের বাড়বকু- বিদ্যুত অফিস সংলগ্ন এলাকায় এলে ঢাকামুখী লেনে ডাকাতের খপ্পরে পড়ে। ডাকাতরা অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপারের কাছ থেকে সব ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ট্রাকচালক বাধা প্রদানের চেষ্টা করলে পায়ে ও শরীরে ডাকাতরা ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
×