জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন। কি কারণে হ্যালি পদত্যাগ করেছেন তা পরিষ্কার জানা যায়নি। তবে তিনি ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও তিনি ট্রাম্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। ওয়াশিংটন পোস্ট।
ট্রাম্প হ্যালির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে বলেছেন, ‘হ্যালি আমার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। অসাধারণ একজন মানুষ হ্যালি। আমার জন্য তিনি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ পদত্যাগ পত্র জমা দিলেও হ্যালি এখনই পদ ছাড়ছেন না। চলতি বছর শেষ পর্যন্ত তিনি ওই পদে থাকছেন। নিরাপত্তা পরিষদের একজন কূটনীতিক বলেন, ‘হ্যালি সাধারণ পরিষদে ভোটে জেতার চেষ্টা করেননি। তিনি ২০২০ বা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে আগ্রহী। পরিষ্কারভাবে তিনি কোন কিছু জেতার জন্যই তার পদকে ব্যবহার করছেন। আর এটা নিশ্চিত।’ সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গবর্নর হ্যালি গত বছর জানুয়ারিতে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পান। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আলোকে ‘নতুন দিনে’র প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি দায়িত্ব নেন। প্রথমে পররাষ্ট্রনীতিতে অদক্ষ মনে হলেও ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি ইরানের প্রতি কঠোর মনোভাব পোষণ করেন। তিনি ইসরাইলের একজন ঘোর সমর্থক। জাতিসংঘের খরচ কমানোর যে কথা ট্রাম্প বলে এসেছেন সেটি তিনি জোরালোভাবে সমর্থন করেন। রিপাবলিকান ভোটারদের মন জয় করতে পারে এমন ইস্যুগুলো নিয়েই তিনি বেশি কাজ করেন। ৪৬ বছর বয়সী হ্যালি নিজস্ব একটি রাজনৈতিক ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন। রিপাবলিকান পার্টির দীর্ঘদিনের স্ট্র্যাটেজিস্ট এবং ট্রাম্পের সমালোচক মাইক মারফি মনে করেন, রাজনৈতিকভাবে যে কারও তারকা হয়ে ওঠার অর্থ ট্রাম্পের প্রতি একরকম হুমকি ছুড়ে দেয়া।