ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১১ অক্টোবর ২০১৮

বিমানবন্দরে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘিরে দেশের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরগুলোতে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বুধবার এ মামলার রায় ঘিরে দেশের বিমানবন্দরে নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে এদিন নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কজন কাস্টমস কর্মকর্তার বাদানুবাদ দেখা দেয়। এ নিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাস্টমস সরাসরি বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গেটে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন, শতভাগ স্ক্যানিং করা এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের সীমিত আকারে প্রবেশাধিকার দেয়ার মতো পদক্ষেপ নেয়া হয়। এদিন এক যাত্রীর সঙ্গে শুধু একজন দর্শনার্থীকে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত এভসেক পরিচালক উইং কমান্ডার নূর ই আলম সিদ্দিকীকে দেখা যায়, দিনভর সারা বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা তদারকি দেখতে। তিনি তার প্রতিটি নিরাপত্তা কর্মীকে সর্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রেখে নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। অন্য সময় একজন যাত্রীর সঙ্গে তিনজন দর্শনার্থী বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা এড়াতে এক যাত্রীর সঙ্গে একজন দর্শনার্থী ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শাহজালাল বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একটু পর পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করছেন। এরই মাঝে হঠাৎ সেখানে আকস্মিক পরিদর্শনে যান মেম্বার (সিকিউরিটি) শাহ এমদাদুল হক। তিনি বিমানবন্দরের প্রতিটি পয়েন্টে গিয়ে যাত্রী সাধারণ ও অন্য স্টাফদের সার্বিক চিত্র পরিদর্শন করেন। বিমানবন্দরের প্রশাসন সূত্র জানায়, এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলায় হঠাৎ একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। বিকেলে ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব বিমানবন্দরের নিচ তলায় ক্রু গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের সময় তাকে আর্চওয়ে গেটে চেক করতে চান একজন আনসার সদস্য। এতে তিনি আনসারকে বাধা দিয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। মুুহূর্তে সেখানে জড়ো হয় যায় কর্মরত অন্যান্য স্টাফ। এক পর্যায়ে মাহবুব হুমকি দেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে সব নিরাপত্তা কর্মী তুলে নেয়া হবে। তার এ হুমকির খবর পেয়ে অন্যান্য নিরাপত্তা কর্তারা এগিয়ে আসেন। এ সময় কাস্টমস ও এভসেক কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে করে। শেষ পর্যন্ত যুুগ্ম কমিশনারকে চেক করেই যেতে দেয়া হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, এর আগে সকালেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে। দুজন কাস্টমস কর্মকর্তা নিচের এরাইভাল গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের সময় তাদেরকে বাধা প্রদান করেন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই আনসার সদস্যকে তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে জোর করেই ভেতরে প্রবেশ করেন। বিষয়টি সিভিল এভিয়েশানের উর্ধতন মহলে জানান হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে এ রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কোথাও কোন ধরনের নিরাপত্তা বিঘিœত হবার খবর পাওয়া যায়নি। এভসেক পরিচালক নূর ই আলম সিদ্দিক জানিয়েছেন, নিরাপত্তায় কাউকে বিন্দুুমাত্র ছাড় দেয়া হয়নি। শতভাগ আপোসহীন মনোভাব নিয়েই দায়িত্ব পালন করেছে নিরাপত্তা কর্মীরা। এ জন্য বাড়তি জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টও দেয়া হয়েছে।
×