ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিও ফান্ড ব্যবহারের পর বিবিএস ক্যাবলের সর্বোচ্চ মুনাফা

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১০ অক্টোবর ২০১৮

আইপিও ফান্ড ব্যবহারের পর বিবিএস ক্যাবলের সর্বোচ্চ মুনাফা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিএস ক্যাবলের প্রতিবছরই বিক্রয় ও মুনাফা বাড়ছে। যা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ফান্ড প্রাপ্তির পরে সেই গতি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। যাতে এই ফান্ড প্রাপ্তির ৮ মাসেই কোম্পানিটির নিট মুনাফা দ্বিগুণ হয়েছে। ব্যবসায়িক এমন চিত্রে কোম্পানিটির শেয়ার দর লেনদেনের প্রথমদিনের তুলনায় এখন আরও বেশিতে অবস্থান করছে। ২০০৯ সালে প্রাইভেট হিসাবে গঠিত বিবিএস ক্যাবল ২০১১ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে কোম্পানিটির বিক্রয় ও নিট মুনাফা বাড়ছে। পণ্যের মানে কোন ধরনের আপোস না করাকে ব্যবসায় সফলতার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন বিবিএস ক্যাবলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার। এছাড়া বাজার বিশ্লেষণ, অগ্রিম ৫ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ ও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবসা সাজানো সফলতার অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিবিএস ক্যাবলের নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেড়ে হয় ২০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এরপরে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হয়েছে ৪১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিবিএস ক্যাবলস শেয়ারবাজার থেকে ২০ টাকা সংগ্রহ করে। যে অর্থ ব্যবহারের জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই হাতে পেয়েছেন। আর এই প্রাপ্তির ৮ মাসেই (আগস্ট ’১৭-মার্চ ’১৮) কোম্পানিটির নিট মুনাফা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৪১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৯ মাসের ব্যবসায় হয়েছে ৮০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৯ মাসের ব্যবসায় মুনাফা বেড়েছে ৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ৯৫ শতাংশ। এখনও শেষ প্রান্তিকের মুনাফা যোগ হওয়া বাকি রয়েছে। যা নিয়ে চলতি মাসেই কোম্পানিটির পূর্ণাঙ্গ আর্থিক হিসাব প্রকাশের জন্য সময় নির্ধারিত রয়েছে। বিবিএস ক্যাবলের শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ইস্যু করে। যে অর্থ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পেলেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ব্যবসায় ২০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ টাকা বিনিয়োগে প্রাপ্তি ছিল ২ টাকা বা ২০ শতাংশ। এদিকে বিবিএস ক্যাবলসে প্রতিটি শেয়ারে ১০ টাকা বিনিয়োগে ক্যাপিটাল গেইন আকাশচুম্বি। ১০ টাকা দরে শেয়ারটি লেনদেনের প্রথমদিনেই ৯০ টাকা হয়। যে শেয়ারটি লেনদেনের পর থেকে চলতি বছরের ২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫০ টাকা থেকে ৭১ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা বা আইপিওধারীরা কমপক্ষে ৬১০ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন করতে পেরেছে। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বলেন, আমাদের কোম্পানির শেয়ার দর এখনও অবমূল্যায়িত রয়েছে। কোম্পানির শক্তিশালী ভিত্তি অনুযায়ী, শেয়ার দর আরও বেশি হওয়া যুক্তিযুক্ত। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্যাবল সেক্টর বাংলাদেশের খুবই সম্ভাবনাময় খাত। এমতাবস্থায় বিবিএস ক্যাবলসকে আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। বিবিএস ক্যাবলের বিনিয়োগ করে কোন বিনিয়োগকারী ক্ষতির কবলে পড়বেন না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
×