ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় চাল আমদানি বন্ধের দাবি জানাল চালকল মালিক গ্রুপ

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৯ অক্টোবর ২০১৮

নওগাঁয় চাল আমদানি বন্ধের দাবি জানাল চালকল মালিক গ্রুপ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৭ অক্টোবর ॥ অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চালকল মালিকদের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন এবং বিদেশ থেকে চাল আমদানি বন্ধের দাবিতে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। শহরের পার-নওগাঁস্থ চালকল মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন চকদার, সাবেক সভাপতি আলহাজ তৌফিকুল ইসলাম বাবু, সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মোত্তালিব তালুকদার, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল আলম রেজভীসহ অন্যান্য মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। সরকারের অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানার জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। কিন্তু নওগাঁ জেলার কোন ব্যাংক কোন মিলারের জন্য এখনও সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেনি। ফলে কৃষিভিত্তিক এই শিল্প কলকারখানা দিনের পর দিন ঋন খেলাপী হয়ে পড়েছে। অপরদিকে বিগত বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশের স্থলে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করে আমদানির মাধ্যমে সেই খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করা হয়। সে সময় এত বেশি পরিমাণ চাল আমদানি করা হয় যে, সৃষ্ট খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করার পরও ব্যাপক পরিমাণ মজুদ থাকে। সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় গত বোরো মৌসুম এবং বর্ষালী ধানের ব্যাপক উৎপাদন হয়। এতে দেশের খাদ্য গুদামগুলোসহ ব্যবসায়ী ও কৃষকের কাছে প্রচুর পরিমাণ ধান-চালের মজুদ গড়ে ওঠে। এতে কৃষক একদিকে যেমন উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে, তেমনিভাবে কৃষিভিত্তিক এসব চালকলগুলোও ব্যবসায়িক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরপরেও প্রতিবেশী দেশ থেকে চালের আমদানি অব্যাহত থাকায় আমাদের দেশের উৎপাদিত চাল বাজার দর হারাচ্ছে। চালকলগুলোতে কর্মরত হাজার হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিকের বেকারত্ব দূরীকরণ ও কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য এই মুহূর্তে চালের আমদানি শূন্যের কোঠায় আনা জরুরী বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ সমস্যার উত্তোরনে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপ চাল শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
×