ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সকালে ফাঁসির আসামির মৃত্যু ॥ বিকেলে খালাসের চিঠি

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৯ অক্টোবর ২০১৮

সকালে ফাঁসির আসামির মৃত্যু ॥ বিকেলে খালাসের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ উচ্চ আদালত থেকে ফাঁসির দ- থেকে খালাস পেলেও এই আদেশ জেলা জজ আদালতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় ৬ মাস। আর এই আদেশ রবিবার বিকেলে আদালতে পৌঁছায়। এর আগে রবিবার সকালেই খুলনা করাগারে মৃত্যু হয় সাতক্ষীরার জোড়া পুলিশ খুন মামলার ফাঁসির দ-প্রাপ্ত থেকে খালাস পাওয়া আসামি ওবায়দুর রহমান ওরফে অবেদ আলির। রাতে তার লাশ নিয়ে আসা হয় নিজ বাড়ি সাতক্ষীরার কুখরালিতে। অবেদ আলি ওই গ্রামের রজব আলির ছেলে। জানা গেছে, ২০০৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শহরের ছফুরন্নেসা কলেজের সামনে ফটিক বাবুর বাড়ির কাছে দুই পুলিশ কনস্টেবল ফজলুল হক ও আবদুল মোতালেব সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ সময় আহত হন কনস্টেবল আবদুল আহাদ। তারা বাইসাইকেলে বাঁকাল এলাকায় ডিউটি সেরে রাত সোয়া ২টার দিকে কর্মস্থল ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়িতে ফিরছিলেন। ২০০৬ সালে এ মামলায় আসামি রায়হানুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও ওবায়দুর রহমান ওরফে অবেদ আলিসহ তিনজনকে মৃত্যুদ- দেন আদালত। এছাড়া আরও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। ২০১১ সালে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করলে ওবায়দুর রহমান রহমান ওরফে অবেদ আলি খালাস পান। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপীল করলে উচ্চ আদালতে গত ১১ এপ্রিল খালাসের আদেশ বহাল থাকে। অবেদ আলির ভাই হাবিবুর রহমান জানান, ছয় মাস আগে উচ্চ আদালতের আদেশে এ মামলা থেকে অবেদ আলি খালাস পেয়েছিলেন। তার কারামুক্তির আদেশ কার্যকর হবার আগেই ১৩ বছর জেলে থাকার পর রবিবার তিনি মারা যান। তিনি জানান, আদালত থেকে এই খালাসের আদেশ কারাগারে না পৌঁছানোয় তাকে ছয় মাসেরও বেশি সময় আটক থাকতে হয়। এরই মধ্যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। রবিবার সকালে খুলনা কারাগারে মারা যান তিনি। একই দিন বিকেলে তার খালাসের আদেশ পৌঁছায় সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে।
×