ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাসিনার নেতৃত্বে নৌকাকে অবশ্যই বিজয়ী করব ॥ এইচটি ইমাম

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৯ অক্টোবর ২০১৮

হাসিনার নেতৃত্বে নৌকাকে অবশ্যই বিজয়ী করব ॥ এইচটি ইমাম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের কোন বিকল্প নেই। তাই সংগঠিত ও পরিকল্পিতভাবে বিজয়ের জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরাম আয়োজিত ‘নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে প্রবাসীদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসীদের উদ্দেশে এইচটি ইমাম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকাকে আমরা অবশ্যই বিজয়ী করব। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমাদের জন্য বিজয়ের কোন বিকল্প নেই। প্রত্যাগত প্রবাসী ভোটারদের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার কথা মানুষকে জানাতে হবে। নিজেদের ভাল কাজ প্রচার করতে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে খারাপ বলবেন না। তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিকে শক্ত করে ধরে রেখেছেন। প্রবাসীরা শ্রদ্ধার পাত্র। দেশের রাজনীতিতে প্রবাসীদের পদ ও কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা প্রবাসীদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। পরে জেলায় জেলায় কমিটি করার ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন ঘিরে চারদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র রুখতে প্রবাসীদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশের মতো সাদা কর্মসূচী পালন করে। কিন্তু নেপথ্যে জঙ্গীদের মদদ দিচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। ফোরামের আহ্বায়ক এম এ কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। বর্ণচোরাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ঐক্য গড়তে হবে- ড. হাছান ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বর্ণচোরা রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তারেক রহমান, বাবরসহ প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেয়ার দাবি জানান তিনি। সোমবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উন্নয়নের মহাকবি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরতœ শেখ হাসিনা- সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারা সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা পচনশীল রাজনীতিতে অগ্রভাগে রয়েছেন। যে বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির নামে দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং দেশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হামলা করেছে, এখন তারা তাদের পক্ষে কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী এখন বিএনপির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, এ হামলা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে হয়েছে। এ হামলার বিষয়ে তিনি সবকিছু জানতেন। তা না হলে তিনি কেন গ্রেনেড হামলার পর মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিলেন। এতেই প্রমাণিত, তিনি সব কিছু জানতেন। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে সংবিধান অনুয়ায়ী যথাসময়ে নির্বাচন। এই নির্বাচনে যারা দেশকে শিকার করে না তাদের পক্ষে মানুষ রায় দেবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যারা অবদান রাখবে মানুষ তাদেরই ভোট দেবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। তা না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তিনি বলেন, ২০০৪ সালে সরকার প্রধান ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তার অধীনে ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়েও তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ তিনিও এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
×