ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নরমাল ডেলিভারির নামে সুস্থ নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ৮ অক্টোবর ২০১৮

 নরমাল ডেলিভারির নামে  সুস্থ নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৭ অক্টোবর ॥ নরমাল ডেলিভারির নামে মায়ের পেটে সুস্থ এক নবজাতককে মেরে ফেলা হয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এফডব্লিউএ নাফিজা বেগম কাকলী ওই নবজাতককে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে মৃত নবজাতককে বের করে বাঁচানো হয়েছে মায়ের জীবন। রবিবার এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, উপজেলার মৈশাদি গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা মাহমুদা বেগম (৩৩) প্রসবকালীন ব্যথা উঠলে বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের এফডব্লিউএ নাফিজা বেগম কাকলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শনিবার বিকেল ৪টার সময় অন্তঃসত্ত্বা মাহমুদা বেগমকে নিয়ে তার বোন জেসমিন আক্তার ও চাচি মনোয়ারা বেগম এফডব্লিউএ নাফিজা বেগমের পৌর শহরের গুলশানপাড়ার বাসায় আসেন। তিনি ওই সময় অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর পেটে হাত দিয়ে বলেন, কোন সমস্যা নেই, বাচ্চা নড়াচড়া করছে। নরমাল ডেলিভারি হবে। তিনি এরপর ওই নারীকে আল্টাসনোগ্রাম করতে তার বাসার কাছে নিরাময় ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। ডাঃ আফজাল হোসেন জুয়েল ওই নারীর আল্টাসনোগ্রাম করেন এবং বলে বাচ্চার পজিশন ভাল আছে, সুস্থ আছে। এরপর তারা আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্টসহ তারা নাফিজার বাসায় যান। এরপর নাফিজা অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে তার বাসার নিচতলার একটি রুমে নিয়ে শুয়ে দিয়ে দুই রানে দুইটি ইনজেকশন দেন। বাম হাতে কেনুলা পরান। এরপর তিনি চলে যান। ভোর রাত ৪টার দিকে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে নাফিজাকে বাসার দোতলা থেকে ডেকে আনা হয়। তিনি এসে বলেন, অস্থির হওয়ার কিছুই নেই। পেটের মধ্যে বাচ্চা ভালই আছে। নরমাল ডেলিভারি হবে। ৭ হাজার টাকায় কন্ট্রাক্ট করা হয় নাফিজার সঙ্গে। রবিবার সকাল ৯টার পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে না দেখে তার শরীরের একটি স্যালাইন পুশ করা হয়। এর অল্প সময় পরেই অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। নাফিজা বেগম তাকে বাসা থেকে হাসপাতালের সামনে সেবা ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। সেখানে পুনরায় তার আল্টাসনোগ্রাম করানো হয়। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আহমেদ কামাল ওই নারীর স্বজনদের জানান, পেটের মধ্যে নবজাতক মারা গেছে । এখন সিজার না করলে মাকে বাঁচানো যাবে না। সকাল ১০টায় তার পেট থেকে মৃত একটি ছেলে বেড় করা হয়। ওই নারীর বোন জেসমিন আক্তার বলেন, তার ভগ্নিপতি একজন রাজমিস্ত্রী। ঢাকায় কাজ করেন। তার বোনের তিন মেয়ের পর একটি ছেলে হয়েছিল। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে এফডব্লিউএ নাফিজা বেগম কাকলীর ০১৭১৮০৩৭১০২ নম্বর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
×