ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সের ১৪ বছর পূর্তি

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ৮ অক্টোবর ২০১৮

বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সের  ১৪ বছর পূর্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিনেথিয়েটার ‘বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সের ১৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এ উপলেক্ষ আজ সন্ধ্যায় সিনেপ্লেক্সটির স্টার জোনে এক বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন সঙ্গীতশিল্পী কণা। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স চালু হওয়ার পর যেসব চলচ্চিত্র এই হলে ব্যবসা সফল হয়েছে সেসব চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হবে। মোট ১৩টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এস এ হক অলিকের ‘হৃদয়ের কথা’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’, রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘গেরিলা’, মাহফুজ আহমেদের ‘জিরো ডিগ্রী’, অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’, ফাখরুল আরেফিনের ‘ভুবন মাঝি’, দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা এ্যাটাক’ বিশেষত উল্লেখ্য। এদিকে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও নাটকের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদকে ‘ক্রেস্ট অব এপ্রিসিয়েশন’-এ ভূষিত করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেপ্লেক্সটির মার্কেটিং এবং ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের ম্যানেজার রেবেকা সুলতানা। তিনিই মূলত আজকের বর্ণিল অনুষ্ঠানের মূল পরিকল্পনাকারী। পুরো আয়োজনটির ব্যবস্থাপনা করছেন গুণী নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। ১৯৬৪ সাল থেকে আজ অবধি টানা চলচ্চিত্রে কাজ করে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শর্মিলী আহমেদকে দেয়া হচ্ছে ‘ক্রেস্ট অব এপ্রিসিয়েশন’। বিষয়টি জানার পর শর্মিলী আহমেদ বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। শর্মিলী আহমেদ বলেন, স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তারা আমার চলচ্চিত্রের অবদানকে নিয়ে এমনভাবে ভেবেছেন এবং আমাকে সম্মানিত করছেন এটাই আমার জন্য অনেক আনন্দের, ভাললাগার। বিশেষত ধন্যবাদ দিতে চাই রেবেকা সুলতানা এবং চয়নিকা চৌধুরীকে। তারা দু’জন গত ৬ অক্টোবর আমাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণে নিরলস শ্রম দিয়েছেন। কোন সিনেমা হলের এই ধরনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আমাকে নিয়ে এমন আয়োজন এবারই প্রথম। আমার জীবন চলার পথে এই এপ্রিসিয়েসন সত্যিই মনের ভেতর গেঁথে রইবে। শর্মিলী আহমেদ প্রথম উর্দু চলচ্চিত্র ‘ঠিকানা’য় অভিনয় করেন। এরপর আরও দুটো উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আবির্ভাব’ শর্মিলী অভিনীত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। এটি ১৯৬৮ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পায়। তারপর বিয়ে হয়ে যায় তার প্রকৌশলী রকিব উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। বিরতির পর আলমগীর কবিরের ‘রূপালী সৈকতে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর ‘আরাধনা’, ‘আলিঙ্গন’, ‘পলাতক’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘বসুন্ধরা’, ‘রাই বিনোদিনী’, ‘সুদ আসল’সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন। মূলত ‘আগুন’ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার পর থেকে ‘মা’ হিসেবে চলচ্চিত্রে তার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়।
×