ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইস্তানবুল কনস্যুলেটে তল্লাশি করতে দেবে সৌদি আরব

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৭ অক্টোবর ২০১৮

ইস্তানবুল কনস্যুলেটে তল্লাশি করতে দেবে সৌদি আরব

তুরস্কের ইস্তানবুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেট ভবনে নিখোঁজ সৌদি আরব সরকারের সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগগিকে (৫৯) খুঁজতে তুর্কী কর্তৃপক্ষকে তল্লাশি চালাতে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ। খবর ব্লুমবার্গের। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, এই সাংবাদিককে খুঁজতে তুরস্ক কর্তৃপক্ষকে স্বাগত জানাবে তারা। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে যুবরাজ সালমান বলেছেন, এই সৌদি নাগরিকের সঙ্গে কি ঘটেছে তা জানতে আমরা খুবই আগ্রহী আর আমাদের লুকানোর কিছুই নেই। আগামী মাসে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত সপ্তাহে ইস্তানবুলের কনস্যুলেট ভবনে যান জামাল খাশোগগি। সঙ্গে থাকা হবু স্ত্রীকে ও তার মোবাইল ফোনও বাইরে রেখে যেতে বাধ্য করা হয়। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেন তার হবু স্ত্রী ও তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা খাশোগগি সৌদি যুবরাজের কঠোর সমালোচক এই সাংবাদিক কনস্যুলেট ভবনেই রয়েছে বলে দাবি করে তুর্কী কর্তৃপক্ষ। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি কনস্যুলেট ভবন ছেড়ে গেছেন খাশোগগি। যুবরাজ বিন সালমান বলেন, তুরস্ক সরকারকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। তারা আসুক আর আমাদের ভবন তল্লাশি করে দেখুক। ভবন এলাকাটি সার্বভৌম অঞ্চল, কিন্তু আমরা তাদের প্রবেশ ও তল্লাশি এবং তারা যা চায় তা করতে দেব। যদি তারা সেটা করতে চায় অবশ্যই আমরা তাদের তা করতে দেব। ২ অক্টোবর খাশোগগির হবু স্ত্রী তার নিখোঁজের দাবি করার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বুধবার দাবি করেন ওই সাংবাদিক কনস্যুলেটের মধ্যেই রয়েছেন বলে তাদের ধারণা। সৌদি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানানো হয়, ওই সাংবাদিক কনস্যুলেট ভবন এমনকি সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছেও নেই। বিন সালমান বলেন, সাংবাদিক কনস্যুলেটের মধ্যে নেই। ওই সময়ে আসলেই কি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমার বোঝাপড়া হলো তিনি সেখানে ঢুকেছিলেন আর কয়েক মিনিট বা ঘণ্টাখানেক পর বেরিয়ে যান। আমি নিশ্চিত নই, জামালের সঙ্গে সেখানে কি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে আমরা তুরস্ক সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এর আগে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গত বৃহস্পতিবার সৌদি দূতকে তলব করে তুরস্ক। নিজেদের কলাম লেখক খাশোগগির স্মরণে শুক্রবার এক কলাম খালি রেখেই প্রকাশিত হয় ওয়াশিংটন পোস্ট। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে ভ্রমণ ও তার সাক্ষাতকার নেয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন খাশোগগি। আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াই নিয়ে লেখালেখি করতে তিনি ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে বিন লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে তিনি বিন লাদেনের সঙ্গে সৌদি রাজপরিবারের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। তাকে সুদান থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিজ দেশে ফেরার অনুরোধ জানালেও আল কায়েদা নেতা তা প্রত্যাখান করেন।
×