বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের পক্ষে আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া কি আগে তা দেখা যাক। তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা যা করেছেন, তা অন্য কেউ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কারও কোন দাবি জানাতে হবে না। তবে কোন বিষয় ন্যায় ও বাস্তবসম্মত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই তা দেখবেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত লিখনকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কোটা বহালের পক্ষে আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচী তারা কখনও করবেন না, তারা উঠে যাবে। তারা কারও উস্কানিতে পা দেবে না। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে বিএনপি। আর এখন তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে কথা বলার অর্থ হলো ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।
পদ্মা সেতুর নামকরণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন সেজন্য সংসদ সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা তার নামে এই সেতুর নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার প্রস্তাব করে সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে তিনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোন সদস্যের নামে এ সেতুর নামকরণ করা হোক তা চাননি। তাই তিনি নদীর নামেই এ সেতুর নাম পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন লিখনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে বিরল রোগে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ৩১ বার তার হাড় ভেঙ্গে গেছে। গত বছর সংবাদপত্রে এ ছেলেটির বিষয়ে জানার পর তার চিকিৎসার ভার তিনি নিজে গ্রহণ করেছেন। একবার তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। আবারও হবে। এ রোগের চিকিৎসা একটু ব্যয় বহুল। এ সময় তিনি বান্দরবানের থানচির একটি শিশু এবং ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক পঙ্গু শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ভার নেয়ার কথাও জানান।