ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আনুশা আলমগীরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘দ্য মেল গেজ’

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৫ অক্টোবর ২০১৮

আনুশা আলমগীরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘দ্য মেল গেজ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিটি ছবিতে উঠে এসেছে পুরুষশাসিত সমাজে নারীর অবিচলিত মনোযোগের অনুভূতি। সেসব ছবির সঙ্গে শিল্পকর্মের সংযোগে সাজানো হয়েছে প্রদর্শনী। বহুমাত্রিক মাধ্যমের শিল্পী আনুশা আলমগীরের সেই ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীটি চলছে ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে। শিরোনাম ‘দ্য মেল গেজ’। বুধবার সূচনা হওয়া তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে ৩৬টি আলোকচিত্র। সেসব ছবিতে মূলত ধরা দিয়েছে নারীর পথচলায় পুরুষের চোখ। প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে আছে পূর্ণাঙ্গ আকৃতির আটটি নারী ফিগার ও কাটআউট। পুরুষের চোখ নারীকে কীভাবে দেখেÑএটাকে উপজীব্য করেই সজ্জিত হয়েছে এ প্রদর্শনী। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিল্পী আনুশা ঢাকা শহরের চারপাশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। শরীরে লুকানো ক্যামেরা থেকে পুরুষদের ছবি তুলেছেন শিল্পী। একটি ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন পুরুষের ভিড় রয়েছে, যা নারীর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে রেখেছে। চিত্রগুলো যুক্ত করা হয় একটি ইন্টারেক্টিভ ইনস্টলেশনের সঙ্গে। যেখানে দর্শনার্থীরা শিল্পীকে প্রভাবিত করে এমন গুরুত্বপূর্ণ মহিলাদের কাটআউট সিলুয়েটগুলো দিয়ে হাঁটতে পারেন। এটা অনেকটা পুরুষকে একটি দিন এবং বয়সে মহিলা হওয়ার মতো অনুভব করার সুযোগ দেয়া। যেন একজন মহিলা তার নিজের বাড়ির বাইরে থাকা প্রতিটি জেগে ওঠার মুহূর্তকে অনুভব করে। প্রদর্শনী সম্পর্কে শিল্পী আনুশা আলমগীর বলেন, আট বছর বয়স থেকেই পর্যবেক্ষণ করছি কিছু কিছু পুরুষের চোখ বাজেভাবে নারীর দিকে তাকায়। সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই এই প্রদর্শনী। লুকানো ক্যামেরা দিয়েই পুরুষের চোখগুলোকে ধারণ করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর শেষ দিন আজ শুক্রবার। বেলা ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। আমরা কুঁড়ির শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব ॥ ‘গড়তে শিশুর ভবিষ্যত স্কুল হবে নিরাপদ’ ও ‘শুক্রবার দিন কোচিং চাই নাÑ খেলতে চাই’ এই দুই প্রতিপাদ্যে সাজানো আয়োজন। যেখানে ছিল আলোচনা, গীতিনাট্য, নৃত্য, নাচ, গান ও আবৃত্তি। শিশুদের পরিবেশনার সঙ্গে ছিল শিশুদের জন্য পরিবেশনা। দুই দিনব্যাপী এমনই এক শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের শুরু হলো বৃহস্পতিবার। প্রথম দিন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পর্যন্ত নাচে গানে মন মাতালো শিশুরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ উৎসবের সূচনা হয়। বিশ^ শিশু দিবস উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করে শিশুদের সংগঠন আমরা কুঁড়ি। উৎসবের উদ্বোধন করেন শিশু সাহিত্যিক রফিকুল হক দাদু ভাই। উদ্বোধনী আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি এম আর মঞ্জু, অধ্যাপক ড. বেলায়েত হোসেন খান। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা মোসলেহ উদ্দিন হাওলদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মুশতাক আহমদ লিটন। রফিকুল হক দাদু ভাই বলেন, বঙ্গবন্ধু এক সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেছেন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে শিশুদের জাগাতে হবে। তাদের গড়ে তুলতে হবে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে; দুঃখ, কষ্ট, প্রতিবন্ধকতা আছে। কিন্তু শিশুরা যদি সংকল্প করে, মন দিয়ে লেখাপড়া করে, বাবা-মায়ের আশা-আকক্সক্ষার দিকে খেয়াল রেখে নিজেদের গড়ে তোলে তাহলে সব স্বপ্নই সত্যি হবে। শিশুদের দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসতে শেখাতে হবে। আয়োজনের শুরুতেই ছিল আঙ্গিকাম ললিতকলা একাডেমির শিল্পীদের ‘শাবাশ বাংলাদেশ’ গানের সুরে সমবেত নৃত্য। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে উৎপত্তি কালচারাল সেন্টার পরিবেশন করে গীতিনাট্য ‘ফিরে দেখা’। ত্রিবেণী নৃত্যালয়ের শিশুরা ‘ও মুই না শোনো’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে। একক গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে ইউএইচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও আমরা কুঁড়ি রামপুরা, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা শাখার শিশুরা। অনিকেত সন্ধ্যা নাটকের মঞ্চায়ন ॥ বার্ধক্য বেলার অক্ষমতা, আপনজনের অসহায়তা আর নিয়তির মর্মস্পর্শী গল্পনির্ভর নাটক ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। চন্দন সেন রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন আরহাম আলো। বহুবচন থিয়েটার প্রযোজিত নাটকটি মঞ্চস্থ হলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। ৮৭ বছর বয়সী সুরকার-গীতিকার গায়ক মুখার্জি মশাই পরিত্যক্তের মতো নিজ গৃহে আসাড় হয়ে শয্যাশায়ী। এখন আর গলায় সুর নেই, অনুরাগী শ্রোতাও আজ আর আসে না; তাকে সময় দেয়ার মতো সময়ও হাতে কারও নেই। নাতি প্রিয়তোষ এবং নাত বৌমা মালবিকা বাড়িতে থাকলেও তাদের হাতে তিনি খান না। তখনই খান যখন তার একমাত্র পুত্র যে কিনা পার্টটাইম লেকচারার এবং স্ত্রী হারিয়ে একা, সেই পুত্র কর্ণদেব গান গেয়ে খাওয়ান। পুত্রের অবর্তমানে দাদুকে নিয়ে নাতি-নাত বৌয়ের অশান্তি, দাদুর পাশে থাকতে গিয়ে নাতির চাকরির প্রমোশন নিয়ে দূরে না যেতে পারা, চতুর্থ জেনারেশনের আগমনে গৃহে কক্ষে স্বল্পতা এবং সর্বোপরি মানসিক চাপমুক্ত হতে মুখার্জি মশাইকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নাতি-নাতবৌ। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নূর রোহান, আরহাম আলো, রুমানা, সাহিত্য, পংকজ, মনু মাসুদ, তৌফিকুর রহমান প্রমুখ।
×