নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ৩ অক্টোবর ॥ পার্বতীপুরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলামের (৩৫) সদ্য বিবাহিত স্ত্রী সাবরিনা শারমিন স্বর্ণা (২১) তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে বুধবার দুপুরে স্বর্ণা পার্বতীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ন্যয় বিচারের প্রত্যাশায় বিবেকী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় তার পিতা শহীদুল ইসলামসহ নিকট আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিকদের স্বর্ণা জানান, আমি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার মনারকুটি গ্রামে তাজুলের বাড়ি একই এলাকায়। পিতার নাম আঃ রাজ্জাক। উভয় পরিবারের সম্মতি, ধর্মীয় বিধান ও রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে গত ২৩ আগস্ট তার সঙ্গে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পরদিন থেকে তাজুল আমার ওপর চরম নির্যাতন শুরু করে। বাধ্য হয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করি। তাজুলের লাম্পট্য স্বভাবের বর্ণনা দিয়ে স্বর্ণা জানান, আমি এক কুমারী মেয়ে, দুশ্চরিত্র তাজুলের প্রতারণার শিকার ইতোপূর্বে বিধবা ভাবিকে আমার মতোই বিয়ে করে প্রত্যাখ্যান করেছে। ময়মনসিংয়ের হালুয়াঘাটে একজন খ্রীস্টান মেয়ের সঙ্গে এখনও পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্বর্ণা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। ঘটনার পর থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। মোবাইল ফোনে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন সাবরিনা শারমিনকে গত ২৫ আগস্ট ডিভোর্স দিয়েছেন। তবে বলেছেন আদালত আদেশ করলে দেন মোহরের পুরো দশ লাখ টাকা তিনি পরিশোধ করবেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: