ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এলসি নিষ্পত্তি না করায় সাত ব্যাংককে সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৪ অক্টোবর ২০১৮

এলসি নিষ্পত্তি না করায় সাত ব্যাংককে সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তি না করায় সাতটি ব্যাংককে সতর্ক নোটিস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে এলসিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এসব ব্যাংকের অনিষ্পন্ন এলসি রয়েছে ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এলসিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সাতটি ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে তিনটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, তিনটি বেসরকারী খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক ও একটি বিদেশী খাতের ব্যাংক রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, সামগ্রিকভাবে দেশের আমদানি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ। চলতি বছরের আগস্ট শেষে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত বছরের এই সময়ে আমদানি হয়েছিল ২৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মেশিনারি আমদানি করতে ব্যয় হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। যদিও এই অর্থ বিদেশী ঋণ ও অনুদান থেকে পরিশোধ করা হবে। মেগা প্রকল্প রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুতকেন্দ্রের মেশিনপত্র আমদানির কারণে এলসির পরিমাণ বেড়ে গেছে। বর্তমানে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৯টি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মনিটরিং কমিটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একক মাস হিসেবে সামগ্রিক আমদানি আদেশের রেকর্ড করেছে ২০১৭ সালের নবেম্বর। ওই মাসে আমদানি করা হয়েছে ১৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য সবচেয়ে বড় এলসি খোলা হয়েছে। ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির জন্য বিভিন্ন সময় সোনালী ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ অটোমিক এনার্জি কমিশন ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের এলসি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি করা উচিত। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনিষ্পত্তি হওয়া এলসি নিষ্পত্তি করতে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। মেয়াদপূর্তিতে আমদানি পরিশোধ করা হলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়তে পারে বলে তা মতামত দিয়েছেন। রফতানির তুলনায় আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগেও এই ঘাটতি ছিল মাত্র ৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার।
×