ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশুর জন্যে বাড়তি সতর্কতা;###;সফিউল্লাহ আনসারী

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ আবার ডেঙ্গু

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৪ অক্টোবর ২০১৮

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ আবার ডেঙ্গু

আবারও ডেঙ্গু, আবারও আতঙ্ক-মৃত্যু ভয়! ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে অজানা শঙ্কা ভাবিয়ে তুলেছে। রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সকল বয়সের মানুষ। ডেঙ্গু ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে জন থেকে জনে। তবে এই ডেঙ্গু ভাইরাস কোমলমতি শিশুদের বেশি পরিমাণে আক্রমণ করে থাকে। ফলে এর তীব্র প্রকোপে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় পতিত হয়। অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হচ্ছে এই ডেঙ্গুজ্বর। তবে আতঙ্কিত হয়ে ডেঙ্গুকে ভয়ের কারণ হিসেবে না নিয়ে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর সতেচনতার সঙ্গেই দ্রুত সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ এ ভয়ানক জ্বর থেকে আমাদের সন্তান ও স্বজনদের রক্ষা করতে পারে। ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর হওয়ায়, ভাইরাসজনিত অন্য রোগের মতো সরাসরি এর কোন প্রতিষেধক নেই, নেই কোন টিকা। ইদানীং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর সঙ্গে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এতে আক্রান্ত রোগীদের হঠাৎ করে অনেক জ্বর ও গায়ে প্রচুর ব্যথা দেখা দিচ্ছে। এই ডেঙ্গুতে ক’দিনের মধ্যে শিশু-নারীসহ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পত্রিকায় এসেছে। এই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে হবে। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ ও ভয়াবহতা থেকে জনগণের সুরক্ষার জন্য দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপও নিতে হবে। সাধারণত মশকনিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব এবং মানুষের অসচেতনতাই ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য প্রধানত দায়ী বলে বিজ্ঞমহলের ধারণা। মাঝে-মধ্যে বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশি মাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা বাড়িয়ে এডিস মশার বিস্তার ঘটিয়ে মশার পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। এডিস মশার পরিমাণ যত বৃদ্ধি পাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত লোকের হারও বাড়বে। ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে খুঁজে খুঁজে মশার উৎস বন্ধ করতে পারলেই ডেঙ্গুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। ক্লাসিক্যাল ও হেমোরেজিক ডেঙ্গু নামে দুই প্রকারের ডেঙ্গুজ্বর রয়েছে। এ জ্বরের ভয়াবহতাকে রক্ষা পেতে, এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের সবখানে মশানিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে- তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী এসব স্থানগুলোকে পানি নিঃষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্তৃক এডিস মশানিধন এবং এডিসের বংশ বিস্তার রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ জোরদার করতে হবে। ডেঙ্গুর প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলো স¤পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। ডেঙ্গু হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, রাজধানী ও জেলা-উপজেলা সদরের সরকারী হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি এডিসমশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভালুকা, ময়মনসিংহ থেকে
×