ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আফগান শান্তি আলোচনা ॥ চীনকে পাশে চান তালেবান নেতা

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৩ অক্টোবর ২০১৮

আফগান শান্তি আলোচনা ॥ চীনকে পাশে চান তালেবান নেতা

আফগানিস্তানে চলমান ১৭ বছরের সংঘাত নিরসনে চীনকে বড় ধরনের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানি আলেম মাওলানা সামিউল হক, যার কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছেন বহু তালেবান নেতা। আঞ্চলিক শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেজিংকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সামিউল। এই সামিউল ‘তালেবানদের জনক’ বলে পরিচিত। আফগান তালেবানদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। আফগান তালেবানদের বর্তমান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তার কাছ থেকে দীক্ষা নিয়েছিলেন। খবর ব্লুমবার্গের। সামিউল বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তিতে এগিয়ে এলে চীনকে স্বাগত জানানো হবে এবং এ অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কোনোভাবেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। আফগানিস্তানের অস্থিরতার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক দৃষ্টি রেখে আসছে চীন। চীনের মুসলিম উইঘুরদের তৈরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গী সংগঠন ‘দ্য ইস্ট তুর্কেস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট’ অতীতে আফগানিস্তান-পাকিস্তান দু’দেশেই সক্রিয় থেকেছে। এখন এ দুই দেশের সীমান্ত লাগোয়া জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। সামিউল হক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের তারিখ ঘোষণা করে তবেই শান্তি আলোচনা সফল হতে পারে। তার এসব বক্তব্যে পাকিস্তানের একটা প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। পাকিস্তান যদিও তাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে হুমকি বিবেচিত জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে যেসব হামলা হচ্ছে সেগুলোতে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কবিষয়ক সাবেক পরিচালক জশুয়া হোয়াইটের মতে, আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় চীনের ভূমিকাকে স্বাগত জানানো উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। চীন সবচেয়ে ভাল যে কাজটি করতে পারে তা হলো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্কোন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। এতে আফগান সরকার স্থিতিশীল হতে পারবে ও আলোচনার টেবিলে শক্ত হতে পারবে। এর আগে যে খবর রটেছিল যে চীনা সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে, গত মাসে ওই খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে চীনা সরকার।
×