ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প

সুনামিতে মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৩৪

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৩ অক্টোবর ২০১৮

সুনামিতে মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৩৪

ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে মৃতের সংখ্যা ৮৪৪ জন বলে জানানো হয়েছিল। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে মৃত্যুপুরিতে পরিণত হওয়া ইন্দোনেশিয়ায় মঙ্গলবার আবারও দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর একটির মাত্রা ছিল ৬, অপরটি ৫ দশমিক ৯। খবর বিবিসি ও এএফপি’র। মঙ্গলবার সকালে ভূমিকম্প দুটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। এ সময় ভূমিকম্প দুটির ঝাঁকুনিতে আতঙ্কিত লোকজন দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। জানা যায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় সুমবা দ্বীপে ভূমিকম্প দুটি আঘাত হানে। প্রথমটি সুমবা দ্বীপ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে। ১০ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। এর ১৫ মিনিট পর একই এলাকায় ১৩০ কিলোমিটার গভীরতায় উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬। তবে এসব ভূমিকম্পে নতুন করে কোন প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। স্থানীয় এক হোটেল কর্মচারী জানান, আমরা অন্তত চারটি ঝাঁকুনি অনুভব করি। প্রথম ঝাঁকুনির পর হোটেলে থাকা ৪০ জন অতিথি দ্রুত বের হয়ে রাস্তায় চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর সবকিছু স্বাভাবিক হলে সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামি ছয় মিটার উঁচু ঢেউ নিয়ে সুলাওয়েসির পশ্চিম উপকূলের পালু শহরে আঘাত হানে। জোড়া এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বহু লোক প্রাণ হারায়। এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরও নুগ্রোহো বলেছেন, ‘দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ হাজার ২৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।’ মঙ্গলবার পালুর নিকটবর্তী সিগি বিরোমারুতে একটি গির্জায় কাদার স্রোতের নিচে চাপা পড়া ৩৪ ইন্দোনেশীয় শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া যায়। এরা সবাই জনোগি গির্জার বাইবেল ক্যাম্প থেকে নিখোঁজ বলে কথিত ৮৬ শিক্ষার্থীর একটি দলের সদস্য। এদের মধ্যে বাকি ৫২ শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিহত শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও তাদের বয়স শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশীয় রেডক্রসের এক কর্মকর্তা। ধসে পড়া রোয়া রোয়া হোটেলের ভিতরে প্রায় ৫০ জন লোক ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে মাত্র তিন জন জীবিত অবস্থায় বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
×