ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৩৯ বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর শুরু

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩ অক্টোবর ২০১৮

৩৯ বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হবে। মঙ্গলবার সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ২৬ নবেম্বর প্রতি কার্যদিবসে সকাল ১০টা থেকে পিএসসির আগারগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা হবে। প্রার্থীদের ডাকযোগে সাক্ষাতকারপত্র পাঠানো হবে না জানিয়ে পিএসসি বলেছে, কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থীরা সাক্ষাতকারপত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কোন প্রার্থী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে তার মৌখিক পরীক্ষা আর নেয়া হবে না এবং তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। সাক্ষাতের সময় সনদ, প্রত্যয়নপত্র এবং অন্যান্য নথির মূল কপি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে অবশ্যই দেখাতে হবে। পাশাপাশি কাগজপত্রের একটি করে সত্যায়িত কপি মৌখিক পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সাক্ষাতকার বোর্ডে জমা দিতে হবে। শুধুমাত্র চিকিৎসক নিয়োগ দিতে গত ৮ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৫৩১ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ৩৯তম বিসিএসের ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় গত ১০ এপ্রিল, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। এতে মোট ৩৯ হাজার ৯৫৪ প্রার্থী আবেদন করেন। তবে বিএসসি ইন হেলথ/মেডিক্যাল টেকনোলজি (ডেন্টাল) ডিগ্রী বিডিএস ডিগ্রীধারী আবেদনকৃত ১৩৯ নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৫৪২ সহকারী সার্জন আর ২৫০ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেয়া হবে। সব মিলে প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নেয়া হবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারী কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) চেষ্টায় চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ‘বিশেষ বিসিএস’ পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনেক মন্ত্রণালয় ও দফতরে হাজার হাজার পদ খালি থাকায় সঙ্কট তৈরির প্রেক্ষাপটে দ্রুত জনবল নিয়োগের দাবি তোলা হচ্ছে বহু বছর ধরেই। বিশেষ বিসিএস নিয়ে অন্তত হাসপাতালগুলোতে যেন দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের দাবি তোলা হচ্ছিল বহুদিন ধরে। কিন্তু কখনও সরকারের উদ্যোগের অভাব আবার কখনও পিএসসির আগ্রহের অভাবে বিশেষ বিসিএসের উদ্যোগ সফল হচ্ছিল না। তবে এবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্রুত ইতিবাচক সাড়া নিয়ে বিশেষ বিসিএস নিয়ে চিকিৎসক নিয়োগের কাজ শুরু করে কমিশন। এ লক্ষ্যে বিশেষ বিসিএসের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিরও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। প্রয়োজনীয় বিধির সংশোধন করেই বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল এ মাসেই : চলতি মাসেই ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হবে। ফল তৈরির কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান আজহার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চলতি মাসে ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে। ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে রোল নম্বর অনুযায়ী ফলাফলের সিট তৈরি করা হচ্ছে। অক্টোবরের শেষের দিকে এ ফল প্রকাশ করা হবে। আজহার হোসেন আরও বলেন, লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রায় তিন মাস ধরে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হচ্ছে। জানা গেছে, চতুর্দশ বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে সর্বমোট ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৮ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ১৫ হাজার ৩৬২ এবং কলেজ পর্যায়ে ৩ হাজার ৮৭৭ জনসহ মোট ১৯ হাজার ৮৬৩ প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। গত বছরের ৮ ও ৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ৮টি বিভাগে একযোগে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর চতুর্দশ বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাসের হার ছিল ২৬ দশমিক ০২ শতাংশ। এনটিআরসিএ কর্তৃক অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় স্কুল পর্যায়ে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৮ এবং কলেজ পর্যায়ে ৩ লাখ ৩ হাজার ৬১২ জনসহ মোট ৮ লাখ ৬ হাজার ৬৫০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৬৯৪ এবং কলেজ পর্যায়ে ১ লাখ ৫ হাজার ১৮১ জনসহ মোট ২ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ জন উত্তীর্ণ হন। চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় মোট ১৯ হাজার ৮৬৩ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৭০০-৮০০ প্রার্থী এ পরীক্ষার মাধ্যমে বাদ পড়েছেন। প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে পাস করেছেন। তবে চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করা প্রার্থীরা এ বছর নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
×