বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি ও সূর্যতাপে ভ্যাপসা গরম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি এবং সূর্যতাপের কারণে সারাদেশে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে খরা অবস্থা এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য বেশ হ্রাসও গরম অনুভূত হওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে। অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দু’টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় বিরাজ করছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, আবহাওয়া জলবায়ুর অন্যতম উপাদান হল জলীয় বাষ্প ও সূর্যতাপ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের অবস্থাকে বলে আর্দ্রতা। বাতাসে যদি জলীয় বাষ্প তথা আর্দ্রতা বাড়ে তাহলে খুব গরম পড়ে। কারণ সূর্যতাপ বেশি হলে বিভিন্ন জলাশয়ে পানি বাষ্প হয়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তীব্র গরমে বাতাসে বেশি জলীয় বাষ্প থাকার কারণে আমাদের গায়ের ঘাম বায়ু আর শোষণ করে জলীয় বাষ্প তৈরি করতে পারে না। কারণ ইতোমধ্যে বায়ু জলীয় বাষ্প দ্বারা পরিপূর্ণ। যেহেতু একদিকে সূর্যতাপ তীব্র, অন্যদিকে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি অর্থাৎ বাতাসের জলীয় বাষ্প গ্রহণের ক্ষমতা থাকে না। তখন আমাদের গরমে ঘাম হচ্ছে। বাতাসে অবস্থিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঠা-া হয়ে মেঘ হয় ও বৃষ্টিপাত ঘটায়। সুতরাং বাতাসে জলীয় বাষ্প তথা আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে গায়ের ঘাম শুকায় না, ভ্যাপসা গরম লাগে ও বৃষ্টি হয়। এজন্য জলীয় বাষ্প বা আর্দ্রতাই দায়ী। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশের অক্ষ উত্তর প্রদেশের পূর্বাংশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাংশ হয়ে উত্তর-পূর্বদিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। সূত্রটি আরও জানায়, আগামী নবেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ওই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। নবেম্বর মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।